free tracking

ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক সারাবেন যেভাবে!

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির যন্ত্রণা কতটা কষ্টকর, তা ভুক্তভোগীরাই ভালো বোঝেন। একটু ভাজাপোড়া কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খেলেই শুরু হয় অস্বস্তিকর ঢেঁকুর, পেটফাঁপা বা বুক জ্বালাপোড়া। এই সমস্যার সমাধানে অনেকেই নির্ভর করেন ওষুধের ওপর, কিন্তু জানেন কি? কিছু প্রাকৃতিক খাবার এবং জীবনযাত্রায় ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমেও ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নিই গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে কার্যকর কিছু খাবার ও অভ্যাস:

যেসব খাবার গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে

✅ শসা

পেট ঠান্ডা রাখতে ও গ্যাসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান গ্যাস্ট্রিক কমায়।

✅ দই

হজমশক্তি বাড়ায়, ফলে খাবার সহজে হজম হয় এবং গ্যাস জমে না।

✅ পেঁপে

এতে থাকা এনজাইম ‘পাপায়া’ হজম শক্তি বাড়ায় ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

✅ কলা ও কমলা

পাকস্থলির সোডিয়াম ব্যালেন্স করে। কলার ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক।

✅ আদা

পেট ফাঁপা বা গ্যাস হলে লবণ মিশিয়ে আদা খেলে তা দ্রুত আরাম দেয়।

✅ লবঙ্গ

খাবারের পরে ঢেঁকুর বা বুক জ্বালাপোড়া হলে ১-২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে আরাম মেলে।

✅ অ্যালোভেরা

গ্যাস্ট্রিক এসিডের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে ও হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

✅ পুদিনা পাতা

পেটের গ্যাস ও বমিভাব দূর করতে এক কাপ পুদিনা পাতার পানি অত্যন্ত উপকারী।

✅ রসুন

আমার আশেপাশের সেরা রেস্টুরেন্ট

এক কোয়া কাঁচা রসুন গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

✅ ডাবের পানি

হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও পাকস্থলীকে ঠান্ডা রাখে।

গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে জীবনধারায় যা পরিবর্তন আনবেন

খাবারের সময় নির্দিষ্ট রাখুন

খালি পেটে চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন

অতিরিক্ত তেল-ঝাল এড়িয়ে চলুন

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, লালচাল, ফলমূল বেশি খান

গ্যাস্ট্রিক থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে সব সময় ওষুধের দিকে না ঝুঁকে প্রাকৃতিক খাবার ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে কেবল গ্যাস্ট্রিক নয়, হজমজনিত অন্যান্য সমস্যাও কমে যাবে। নিয়ম মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই আপনি থাকতে পারবেন গ্যাস্ট্রিক মুক্ত, সুস্থ ও স্বস্তিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *