ইউরো কাপে জর্জিয়া বিপক্ষে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে মেজর টুর্নামেন্টে ৫০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েন পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার এমন কীর্তির দিনে জর্জিয়ার কাছে উড়ে গেছে পর্তুগাল। যদিও এ হারে শেষ ষোলোতে খেলায় তেমন প্রভাব ফেলবে না রোনালদোদের। বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে আগের ম্যাচ থেকে ৮ পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান। নিয়মিত একাদশের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিলেও, একাদশে রেখে দেন অধিনায়ক রোনালদোকে। কিন্তু রোনালদোও এ ম্যাচে বিশেষ কোনো পার্থক্য গড়তে পারেননি। রূপকথার দুর্দান্ত এক গল্প লিখেই মাঠ ছেড়েছে জর্জিয়া।
জার্মান ক্লাব শালকের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই পর্তুগালকে চমকে দেয় জর্জিয়া। পর্তুগিজ ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও সিলভার ভুলে মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় বল পান জর্জিয়ার গিওর্গে মিকাওতাদজে। একটু এগিয়ে তিনি বল বাড়িয়ে দেন খিচা কাভারাস্কেইয়ার উদ্দেশ্যে। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে ভুল করেননি নতুন ম্যারাডোনা খ্যাত নাপোলির এই উইঙ্গার। জায়গা বের করে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে গোল করে জর্জিয়াকে লিড এনে দেন।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে পর্তুগালের দিয়াগো দালোতের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, ২৩তম মিনিটে পালিনহার শট আটকে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে ডি-বক্সে রোনালদোর জার্সি টেনে ধরলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। এটি নিয়ে তর্ক করেন রোনালদো, যা ভালোভাবে নেননি সুইস রেফারি। সঙ্গে সঙ্গে আল নাসরের পর্তুগিজ তারকাকে হলুদকার্ড দেখান তিনি। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে জোয়াও ফেলিক্সের দূরপাল্লার শট তালুবন্দি করেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়ায় রোনালদোরা। ৪৭ মিনিটে দানিলোর শট একটুর জন্য বাইরে চলে যায়। ৫০তম মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় জর্জিয়া। তবে এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ কাভারাস্কেইয়া। জোরালো শট না করায় বল সহজেই ধরে ফেলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক।
৫৫ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর লোকোশভিলিকে ফাউল করে জর্জিয়াকে পেনাল্টি উপহার দেন অ্যান্তনিও সিলভা। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মাকুতাদজে। টুর্নামেন্টে ৩ গোল করে সর্বোচ গোলদাতা এখন জর্জিয়ান এই তারকা। ৭০তম মিনিটে রোনালদোকে বদলি করে গঞ্জালো রামোসকে নামান কোচ। শেষ দিকে কিছু গোলের সুযোগও পেয়েছিল ২০১৬ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের পরিকল্পনাহীনতায় তা গোলের মুখ দেখেনি।
২-০ গোলের অসাধারণ জয়ে তৃতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে উঠলো জর্জিয়া। অন্যদিকে হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে গেছে পর্তুগাল। রানার্সআপ হিসেবে শেষ ষোলোয় গিয়েছে তুরস্ক।
Leave a Reply