free tracking

ধানমন্ডির ৩২-এর আন্ডারগ্রাউন্ড নিয়ে নতুন শঙ্কা: পানি, গন্ধ ও রহস্য!

ঢাকা শহরের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশে নির্মিত একটি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড নিয়ে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল ও সন্দেহ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাতে প্রতিবাদকারীরা একটি ভবন ভাঙার সময় নতুন নির্মিত ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের দিকে সবার নজর পড়েছিল। প্রথমে তা তেমন গুরুত্ব না পেলেও, পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে আলোচনা ও গুজবের ঝড় ওঠে।

৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে স্থানীয়রা সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, আন্ডারগ্রাউন্ডটি পানিতে ভরে গেছে। পানির মধ্যে স্যান্ডেল, লুঙ্গি, পানির বোতল ও কিছু চুল ভাসছিল। এমন দৃশ্য দেখে বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী আন্ডারগ্রাউন্ডে বিকল্প সিঁড়ি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। অনেকেই ছবি তুলে কিংবা লাইভ স্ট্রিম করে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। কিছু মানুষ এটি “নতুন আয়নাঘর” হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেন, যা দেশের ইতিহাসে একটি অন্ধকার দিকের সাথে সংযুক্ত।

পানি ভরা আন্ডারগ্রাউন্ডে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখে অনেকের ধারণা, এটি একটি গোপন বন্দিশালা হতে পারে, যেমনটি পূর্ববর্তী সরকারের সময় বিরোধী মতের লোকদের আটকানোর জন্য “আয়নাঘর” তৈরি করা হয়েছিল। এই ধারণার পেছনে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এবং কিছু লোক বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি ৯৯৯ নম্বরে কল করেও তেমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, কিছু কল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভবনটি এখনো নির্মাণাধীন, তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে তিনটি তলার মধ্যে দুটি তলা পানির নিচে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, এই স্থানে মাদক সেবনকারীরা থাকতেন। এমন পরিস্থিতি, বিশেষ করে পানিতে ভাসমান অজানা বস্তু, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক এবং আরও বেশি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এমন রহস্যময় ঘটনাটি সবার মধ্যে একে “আয়নাঘর” হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা সৃষ্টি করেছে, যা সরকার বিরোধী দলের নেতাদের বন্দি রাখার জন্য ব্যবহৃত একটি সুনামহীন স্থান ছিল। বর্তমানে, বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত তদন্তের দাবি উঠেছে।

এভাবে একটি সাধারণ নির্মাণ কাজ থেকে অদৃশ্য রহস্যের জন্ম নেওয়া ঢাকার শহরের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি এই ঘটনা শুধু সামাজিক মিডিয়াতেই নয়, পুরো শহরে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *