free tracking

পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে আহত ২০ ম্যাটস শিক্ষার্থী!

রাজধানীর শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চার দফা দাবিতে শাহবাগ থেকে সচিবালয়ের দিকে যাত্রা করার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহতদের পরিচয়আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- জাহিদুল হাসান নাইম (২১), আরাফাত ইসলাম (২১), নাইম (২২), সিহাব আহমেদ (২০), মো. আমানুল্লাহ (২১), সুমাইয়া খাতুন (২০), রায়হান গাজি (২১), তাহমিনা আক্তার (২০), রাসেল (২৩), জাহিদুল ইসলাম (২২), ডা. এরশাদুল হক (৩০), মেহেরাব হোসেন (২০), সায়মা আক্তার (২১), সোহাগ হোসেন (২২), ইশরাত জাহান (২০), আসিফুল ইসলাম (২৩) এবং কাকন আক্তার (২৩)।

সংঘর্ষের কারণ ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সাল থেকে তাদের চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে। কিন্তু একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কোনো সমাধান হয়নি। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো:

১. শূন্যপদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টি২. প্রতিষ্ঠানের নাম ও কোর্স কারিকুলাম সংশোধন৩. ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান৪. স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড গঠন

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষাভবনের সামনে আসলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, জলকামান, লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

এক আহত শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ অকারণে হামলা চালিয়েছে। আমরা চাকরির নিশ্চয়তা চাই, রাস্তায় নামতে চাইনি। কিন্তু আমাদের বাধ্য করা হয়েছে।”

হাসপাতালের তথ্য ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, “বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে বিকাল ৩টার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের প্রতিনিধি মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, “বর্তমানে ম্যাটস কোর্স শেষ করা প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ জনবল কর্মসংস্থানহীন বেকার অবস্থায় রয়েছেন। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে প্রায় ২৫০০ শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হচ্ছে না। আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “আমরা চাই, সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিক। আমাদের আর রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে হবে না। যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *