free tracking

মোটরসাইকেলে উঠার আগে যে ১০টি সতর্কতা জরুরি!

ঈদুল ফিতর মানেই প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির সময়। আর এই সময়টি আসে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার প্রতীক্ষায়। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে অনেকেই বেছে নেন মোটরসাইকেল। কিন্তু এই যাত্রা যেমন স্বাধীনতার, তেমনি বিপদেরও।

বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল চালানো ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে ঈদযাত্রার ভিড় ও বেপরোয়া গতির কারণে। এমন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ বাইকারদের পরামর্শ অনুযায়ী নিচের ১০টি বিষয় মাথায় রাখলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব:DSE stock quotes

১. বাইকের পূর্ণ সার্ভিসিং করিয়ে নিন

লং রাইডে বের হওয়ার আগে বাইকের ইঞ্জিন, ব্রেক, টায়ার, চেইন ও লাইট সিস্টেম ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিন। হঠাৎ রাস্তায় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া বা টায়ার পাংচার হলে বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন

ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ইন্স্যুরেন্স ও ফিটনেস সনদ সঙ্গে রাখুন। টোল প্লাজা বা পুলিশের চেকপোস্টে হেনস্তা এড়াতে এগুলোর কোনো বিকল্প নেই।

৩. ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করুন

নিজে ও পেছনের আরোহী উভয়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট পরুন। একাধিক পিলিয়ন না নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. অতিরিক্ত গতি নয়

বেপরোয়া গতি জীবন কেড়ে নিতে পারে। নিজের এবং অন্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমিত গতিতে বাইক চালান। গতিসীমা ও ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।

৫. ট্যাংকি পূর্ণ করুন, মিটার রিসেট করুন

ট্যাংকিতে পর্যাপ্ত জ্বালানি রাখলে বারবার পেট্রোল পাম্প খোঁজার ঝামেলা থাকবে না। ট্রিপ মিটার রিসেট করে নিজের গন্তব্য ও জ্বালানি খরচ মনিটর করা সহজ হবে।

৬. নির্দিষ্ট বিরতি নিন

প্রতি ৫০–৭০ কিলোমিটার পর পর বিরতি নিন। বাইক ও শরীর দুটোই বিশ্রামের দাবি রাখে। বিরতির সময় চাকা, ব্রেক ও অয়েল চেক করে নিতে ভুলবেন না।

৭. খারাপ আবহাওয়ায় বা রাতে না বেরুন

রাতে বা ঝড়-বৃষ্টির সময় মহাসড়কে বাইক চালানো খুবই বিপজ্জনক। স্লিপ করে বা অন্য যানবাহনের ধাক্কায় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।যানবাহন স্কুটার

৮. মনোযোগ ধরে রাখুন

মহাসড়কে মনোযোগ হারানো মানে মৃত্যুর ঝুঁকি। দৃষ্টিভ্রান্তি, চিন্তাভাবনা বা ক্লান্তি থেকে বিরত থাকতে মাঝেমধ্যে ব্রেক নিন।

৯. ঘনঘন ওভারটেকিং নয়

বারবার ওভারটেকিং করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বড় দুই গাড়ির মাঝখানে ঢুকে পড়া যেন কখনোই না হয়। লেন মেনে একটানা ড্রাইভ করতে হবে।

১০. লুকিং গ্লাসে নিয়মিত চোখ রাখুন

প্রতি মিনিটে অন্তত ৬–৮ বার রিয়ারভিউ মিররে তাকান। সিগন্যাল দেওয়া ও হর্ন বাজানো নিশ্চিত করুন। অন্যদের আগেই সাবধান করুন যাতে সংঘর্ষ এড়ানো যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *