free tracking

হরমুজ প্রণালি বন্ধের পদক্ষেপ ইরানের, তেল-গ্যাসের বাজারে অস্থিরতার শঙ্কা!

টানা ৯ দিন বিভিন্ন হুমকি-ধমকির পর অবশেষে এ সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘পরম বন্ধু’ ইসরায়েলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানের বড় তিন পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটি। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে পরিচালিত এ অভিযানে ব্যবহার হয়েছে ভয়ংকর বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান।

যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ এবার হরমুজ প্রণালি বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এ সমুদ্রপথটি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট।

রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রেস টিভি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বিষয়ে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। ইরানি আইনপ্রণেতা এবং বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার ইসমাইল কোসারি বলেন, এমন পদক্ষেপের বিষয়টি এজেন্ডায় আছে এবং যখন প্রয়োজন হবে তখনই কার্যকর করা হবে।

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের মতে, বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ করা হয় এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে। ফলে, এ সমুদ্রপথটি বন্ধ হয়ে গেলে চরম প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে। এমনকি যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পেট্রোল আমদানি করে না, তাদের ওপরও এর প্রভাব পড়বে। কারণ, সরবরাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেলে বিশ্ব বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে তেল ও গ্যাসের দাম।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরান-ইরাক সংঘাতের সময় উভয় দেশই উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল যা ট্যাঙ্কার যুদ্ধ নামে পরিচিত, কিন্তু হরমুজ কখনোই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল না। এই প্রণালি অতিক্রম না করে উপসাগর থেকে সমুদ্রপথে কিছু পাঠানোর কোনো উপায় নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *