কোলন ক্যান্সার বা বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার বিশ্বজুড়ে এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও আধুনিক লাইফস্টাইলই এই রোগের মূল কারণ। তবে আশার কথা হলো, কিছু সহজ দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন করেই এই ভয়ানক রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।
🔹 ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যতালিকায় আঁশ বা ফাইবারযুক্ত খাবার রাখলে কোলনে বর্জ্য জমে থাকার ঝুঁকি কমে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ফলমূল, শাকসবজি, ডাল ও গোটা শস্য জাতীয় খাবার বেশি করে খান।
🔹 লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন:
প্রচুর লাল মাংস (বিফ, খাসি) ও প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন: সসেজ, বার্গার প্যাটি) খাওয়ার সঙ্গে কোলন ক্যান্সারের সংযোগ পাওয়া গেছে। সপ্তাহে একাধিকবার এগুলো খেলে বিপদ বাড়ে।
🔹 নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হালকা থেকে মাঝারি ধাঁচের ব্যায়াম (যেমন হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার) কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। শরীর সচল থাকলে হজম প্রক্রিয়াও উন্নত হয়।
🔹 ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
মোটা বা স্থূল দেহের ব্যক্তিদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। সঠিক ডায়েট ও একটিভ লাইফস্টাইল মেনে চললে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
🔹 ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন:
এই দুটি উপাদান শুধু ফুসফুস নয়, বরং কোলনসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করলেই ঝুঁকি কমে।
🔹 প্রোবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাস করুন:
দই, ছানার পানি বা ফার্মেন্টেড খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে সক্রিয় রাখে, যা কোলনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক।
কোলন ক্যান্সার এড়ানো কঠিন নয়, যদি আপনি প্রতিদিনের জীবনধারায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম ও কিছু ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জনই হতে পারে দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার প্রতিরোধের চাবিকাঠি। এখনই সময় সচেতন হওয়ার!
Leave a Reply