ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেল বিজয়ের পর থেকেই নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এ ফলাফলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা সীমিত হয়ে যাবে কি না। তবে এসব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন যে, নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুমুখী সংস্কৃতি কোনোভাবেই সীমাবদ্ধ হবে না। সাদিক কায়েম বলেন, ডাকসু নির্বাচনে তাদের বিজয় আসলে দীর্ঘদিন ধরে চলা অপপ্রচারের জবাব। নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার, সুরক্ষা ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি তারা শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং জুলাই বিপ্লবের পর এক বছরের কার্যক্রমের মাধ্যমেই সেটি প্রমাণ করেছেন। তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরি করা।
তিনি জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে একাধিক দাবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সমস্যার সমাধানে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং দ্রুতই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে। তার বিশ্বাস, নারীরা তাদের প্রত্যাশিত নেতৃত্ব এই প্যানেলের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন, আর এ কারণেই তারা আস্থা রেখেছেন।
পোশাকের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বহুমুখী সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠান, যেখানে কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতা সীমিত করার সুযোগ নেই। হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কারও পোশাকের পছন্দকে কেন্দ্র করে কাউকে হেয় করা, হস্তক্ষেপ করা কিংবা নির্দিষ্ট পোশাককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা একেবারেই চলবে না। প্রত্যেকে নিজের অধিকার, রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরতে পারবেন এবং এই স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
Leave a Reply