
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি স্বামী ও সন্তানসহ টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিলেন গত ১৭ আগস্ট। মোট ২২ জন মিলে হাওরে দুই দিন এক রাত অবস্থান করেছেন তারা। যা অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তাদের এই ঘুরতে যাওয়ার আগে হাওরের কোনো বোট ফ্রি ছিল না। কিন্তু নাছোড়বান্দা মাহির আবদারে তার স্বামী সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণকে জানালে তিনি বোটের ব্যবস্থা করেন। যে বোটটি কিনা অন্যদের বুকিং করা ছিল। কিন্তু সাবেক ছাত্রনেতার প্রভাবে অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে মাহিদের জন্য সরবরাহ করা হয় বোটটি। যা কিনা শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এক পোস্টে নিজেই জানান মাহি।
এদিকে অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে বোট নিয়ে হাওরে চিত্রনায়িকা মাহি ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার পর কটাক্ষের মুখে পড়েন সোশ্যালে। এ ব্যাপারে চ্যানেল 24-এর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রীর স্বামী গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমি এমনটা শুনিনি কারও কাছে। আপনার কাছেই প্রথম জানতে পারলাম। সারাদিন সেভাবে সোশ্যালে যাওয়া হয়নি। আমার নজরে পড়েনি। আগে আমি জানি, না জেনে তো কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
এর আগে মাহি তার ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশনে লেখেন, ‘কোনো রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না। ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নেই। আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। তিনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত।’
এ নায়িকা লেখেন, ‘ফারিশসহ আমরা ২২ জন ২ দিন ১ রাত হাওরে অনেক আনন্দ করেছি। সব দায়িত্ব স্মরণ ভাই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। ওহ, উনি কিন্তু ছাত্রলীগের জনপ্রিয় সং “আমরা ছাত্রলীগেরই সেনা, নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা” লিখেছেন এবং গেয়েছেন।’
এদিকে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মাহির ক্যাপশন দেখে কটাক্ষ করতে বাদ রাখলেন না নেটিজেনরা। মন্তব্যের ঘরে ঝড় তুলেছে তারা। আবদুল্লাহ আল রায়হান নামের একজন লিখেছেন, ‘কি অদ্ভুত, ক্ষমতা দেখিয়ে অন্য জনের ট্রিপ ক্যানসেল করে দিলেন।’ তারেক পারভেজ নামে একজন লিখেছেন, ‘অন্যের অধিকার খর্ব করলেন আবার তা নির্লজ্জের মতো পোস্ট দিলেন। থু মারি আপনার ক্ষমতাকে।’