
আগামী ৩ দিনে বা ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে আবহাওয়া অফিস এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা ও সৈয়দপুরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ধারণ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৪৫ মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ৩৮ মিলিমিটার, খুলনায় ৩৪ মিলিমিটার, সন্দীপ ও বরিশালে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত ৬টা ১৬ মিনিটে।