
বিয়ের পর নারী–পুরুষ উভয়েরই ওজন বাড়ে। তবে বিয়ের পর বিশেষ করে নারীদের ওজন বাড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কেননা, নারী শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক যত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যান, পুরুষের জীবন তত বদলায় না। নারীদের ওজন বাড়ার এমন কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে।
হরমোন নিঃসরণে পরিবর্তন : বিয়ের পরে অধিকাংশ মেয়েরই জীবনযাত্রা পাল্টে যায়। এর জেরে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে শরীরে নিঃসৃত হরমোনের। তার জেরেই শরীরে বাড়তি মেদ জমতে শুরু করে। হু হু করে বাড়তে থাকে ওজন। সমীক্ষা বলছে, বিয়ের ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৮২ শতাংশ নারীর ওজন বাড়ে।
গাফিলতি : বিয়ের আগে ছিপছিপে শরীর ধরে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের দিকে নজর রাখেন বেশির ভাগ নারী। কিন্তু বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পরে সেই সমস্ত যত্নে ভাটা দেখা দেয়। জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ব্যায়াম না করার মতো বদভ্যাস তো দেখা দেয়ই, তার সঙ্গে শুরু হয় নতুন জীবনে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য নিরন্তর আপস। আর এর জেরে বেড়ে যায় ওজন।
ঘুমের অভাব : বিয়ের পরে মেয়েদের শোওয়ার ভঙ্গি ও সময়ে হেরফের ঘটে। রাতের পর রাত জেগে থাকার কারণে হজমের গন্ডগোল দেখা দেয়। শরীরে জমতে থাকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি।
রুচি পরিবর্তন : কখনও স্বামী, আবার কখনও তার আত্মীয়দের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে বিয়ের পরে অধিকাংশ নারীর রুচি বদলে যায়। কিন্তু লাগাতার আপস করতে গিয়ে ফাঁক থেকে যায় নিজের প্রতি যত্নে। নতুন পরিবেশে নতুন জীবনসঙ্গীর পছন্দের সঙ্গে তাল রাখতে গিয়েও নিজের পছন্দ-অপছন্দ গুরুত্ব হারায়। আর তার ফলে দেখা দেয় মেদবৃদ্ধি।
স্ট্রেস : মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্যত্র বসবাস শুরু করার রীতি জারি রয়েছে। অনেক সময় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে বনিবনায় ঝামেলা দেখা দেয়। নতুন দাম্পত্য জীবনে খাপ খাইয়ে নিতেও করতে হয় আপস। কিন্তু এসবের জেরে মানসিক স্ট্রেস বাড়ে কয়েক গুণ। তার জেরে রোজের খাদ্যাভ্যাসে বদল ঘটে, কেউ কেউ বেশি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে শুরু করেন। তার জেরেই ওজন।
গর্ভধারণ : অধিকাংশ দম্পতি বিয়ের ২-৩ বছরের মধ্যে সন্তানের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সন্তান প্রসবের পরে বেশির ভাগ নারী ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হন না। গর্ভাবস্থার মেদ তাদের শরীরে স্থায়ী আসন পাতে।
টাটকা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আমন্ড তেল মিশিয়ে নিন। ডার্ক সার্কেলের উপর এই মিশ্রণটি দিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে দিতে পারেন এভাবেই। পরদিন ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গোলাপ জল এবং দুধ : গোলাপ জল এবং দুধের মাস্ক ডার্ক সার্কেল হালকা করতে খুব কার্যকর। একটি ছোটো পাত্রে ১ টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। চোখের নিচের অংশে এই মিশ্রণটি ভাল ভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।