
শরীরের ভেতরে ক্যানসার বাসা বাঁধছে কি না তা বাইরে থেকে সেভাবে বোঝা যায় না। ক্যানসার অবশ্যই জটিল রোগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসার যতটা সম্ভব প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা যায়, চিকিৎসার জন্য ততটাই সুবিধা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গগুলো অবহেলা করেন মানুষ। এ কারণে সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু সম্ভব হয় না।
ঠান্ডাকে স্বাভাবিকভাবেই সবাই অবহেলা করেন। কিন্তু এ থেকেও ক্যানসারের আভাস পাওয়া যায়, সেটি হয়তো অনেকেরই অজানা। ঠান্ডা থেকে গলাব্যথা হয় অনেকের। এমনটা শীতেও হয়ে থাকে অনেকের। এই সমস্যা শুধু ঠান্ডার জন্য হয় না। ঠান্ডা থেকে গলাব্যথা হলে তা দু-চার দিনের বেশি থাকে না। কিন্তু এই গলাব্যথা যদি ক্যানসারের লক্ষণ হয়, তাহলে সেটি সহজে সারতে চায় না। তাই গলাব্যথা না কমলে সতর্ক থাকা উচিত।
ভেরি ওয়েল হেলথ এক প্রতিবেদন বলছে, পানীয় পানির তাপমাত্রা কিছু নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকা উচিত। তা না হালে মানুষদের প্রভাবিত করতে পারে। যেমন অ্যাকালেসিয়া, এটি একটি বিরল ব্যাধি বা খাদ্য ও পানীয় গিলতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
২০১২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানি পান করার সময় অ্যাকালেসিয়া আক্রান্তদের বেশি সমস্যা ও ব্যথা হয়। বিপরীতে যখন উষ্ণ বা গরম পানি পান করেন তখন সমস্যা শিথিল হয়।
এছাড়া ঠান্ডা পানি পান করা কখনো কখনো মাইগ্রেন অ্যাটাকের কারণও হয়ে থাকে। তবে পানির তাপমাত্রার থেকে উদ্বেগের কারণ হচ্ছে পরিবেশগত বিষয়। কারণ পানিতে নানা দূষণ উপকরণ ও রাসায়নিক থাকার সম্ভাবনা থাকে। যা সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী প্রভাবের কারণ।
এদিকে গলাব্যথা ছাড়াও ক্যানসারের আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশের মাংসপিণ্ড ফুলে যাওয়ার মতো হয় অনেকের। এমন কিছু দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। আবার কোনো কারণ ছাড়াই যদি ওজন কমতে থাকে তাহলেও ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। যদিও ওজন কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকে যেমন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা পুষ্টির অভাব। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উত্তম।
যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকে তাহলেও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে বিষয়টি। তিন সপ্তাহের বেশি সময় কাশি স্থায়ী হলে তা গুরুতর রোগের ইঙ্গিত দেয়। ফুসফুসের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে কাশি। এ জন্য কাশি সহজে না কমলে তা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত।