কাদেরকে মশা বেশি কামড়ায়? ডেঙ্গু আতঙ্কের মাঝে কারা বেশি সতর্ক থাকবেন!

এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু এখন শুধু ঢাকা শহর নয়, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। আগের তুলনায় এবার ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে মশার নাম শুনলেই আঁতকে উঠছে মন।

এই বুঝি ডেঙ্গু হলো! সর্বক্ষণ ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস এজিপ্টি মশার কামড়ের ভয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, অন্যদের তুলনায় তাদেরই নাকি বেশি মশা কামড়ায়। এই সময়ে তাদের মনে ভয় আরও বেড়ে যায়।

কিন্তু জানেন কি, কাউকে কাউকে মশা বেশি কামড়ায় কেন? এমন কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে।

১. ২০১৪ সালের একটি গবেষণা দেখা গিয়েছে, যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদেরই বেশি মশা কামড়ায়। গবেষকদের মতে, ঘামের সঙ্গে নিঃসৃত ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়ার গন্ধ মশাদের বেশ প্রিয়। ঘামের সেই গন্ধের টানেই মশা বেশি কামড়ায়।

২. অন্তঃসত্ত্বাদের এই বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। অন্তঃসত্ত্বাদের তুলনায় বেশি মশা কামড়ায়। ওই সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সে কারণেই তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশারা।

৩. কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষকেও মশা বেশি কামড়ায়। যেমন ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। ‘ও পজিটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তে বিশেষ ধরনের গন্ধ থাকে, যা মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে।

৪. পোশাকের রংও মশা কামড়ানোর অন্যতম কারণ। যেমন, গাঢ় কোনো রং কিংবা লাল-নীল রঙের পোশাক মশাদের বেশি পছন্দ। তাই গাঢ় পোশাক পরলে সাবধানে থাকতে হবে।

৫. শরীরের তাপমাত্রা যাদের একটু বেশি, যারা বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল খান এবং শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তাদের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।

তবে সব গবেষণারই ব্যতিক্রম রয়েছে। তাই মশা বেশি কামড়াক বা কম, ডেঙ্গুর মৌসুমে সতর্ক থাকতে হবে সব সময়। শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে। শোয়ার সময়ে মশারি ব্যবহার করতেই হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, কোথাও পানি জমতে দেয়া চলবে না। জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *