সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। যেখানে সেমিফাইনালের নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্র ছিল লড়াই। এরপর টাইব্রেকারে ৮-৭ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র থাকলে সরাসরি টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হবে। আর টাইব্রেকার মূলত স্নায়ুযুদ্ধের খেলা। সেই খেলায় দুর্দান্ত লড়েছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটে দুই দলই পাঁচটি করে গোল করে।
৫-৫ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে। সাডেন ডেথের প্রথম দুই শটেও দুই দলের সমতা ছিল। অষ্টম শটে পাকিস্তানের শট ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। ফিরতি শটে বাংলাদেশ গোল করলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে। ম্যাচে দুই অর্ধে একটি করে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল। শেষ ২০ মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচে সমতা আনে তারা। এরপর টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে। ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে শাবাব আহমেদ গোল করেন। জটলার মধ্যে কর্ণার থেকে বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান।
বাংলাদেশ প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়লেও বেশ সুন্দর নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলছে। ফুটবলারদের মধ্যে পাসিং, আত্নবিশ্বাস সবই ছিল দর্শনীয়। বাংলাদশে গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি এই অর্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের চেষ্টা ছিল ম্যাচে সমতা আনার। ৬১ মিনিটে বাংলাদেশ উল্টো পাকিস্তানকে পেনাল্টি উপহার দেয়। পাকিস্তানের আক্রমণে নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করেন বাংলাদেশি ডিফেন্ডার।
রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজান। পাকিস্তানের আব্দুল রেহমান গোল করেন বেশ সহজেই। পরের মিনিটে পাকিস্তানের একটি আক্রমণ পোস্টে লেগে ফেরত আসে। বাংলাদেশ দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি।
ম্যাচে বাংলাদেশের ফেরার চেষ্টা ছিল সর্বাত্নক। ৭৫ মিনিটে কর্ণার থেকে মিঠু চৌধুরির গোলে বাংলাদেশ খেলায় ফিরে। ৯০ মিনিট শেষে রেফারি ৭ মিনিট ইনজুরি সময় দেন।
বাংলাদেশ ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করে ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে। সংঘবদ্ধ আক্রমণে পাকিস্তানী ডিফেন্সকে পরাস্ত করে বাংলাদেশের বদলি ফুটবলার মানিক প্লেসিংয়ে সমতা আনেন এবং খেলা পরের ধাপে নেন।
ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আজ প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ৪-২ গোলে নেপালকে হারায়।
Leave a Reply