ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাকে পেল বাংলাদেশ!

টাইব্রেকার একটি শীতল যুদ্ধের খেলা। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা। টাইব্রেকারে উভয় দলই প্রথম পাঁচটি শটে গোল করে। ৫-৫ গোলে টাই।

সাডেন ডেথের প্রথম দুই শটে দুই দলই সমতায় ছিল। অষ্টম শটে পাকিস্তানের শট রুখে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। ফিরতি শটে বাংলাদেশ গোল করলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সেমিফাইনাল নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে খেলা টাই হলে সরাসরি টাইব্রেকারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টাইব্রেকারে পাকিস্তানকে ৮-৭ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় বাংলাদেশ।

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত কে পেয়েছে।

এই ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের উভয় অর্ধেই তারা একটি করে গোল হারায় এবং পিছিয়ে পড়ে। শেষ ২০ মিনিটে দুটি গোল করে ম্যাচটি সমতা আনেন তিনি।

এরপর টাইব্রেকারে শেষ হাসি পায়। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আজ প্রথম সেমিফাইনালে নেপালকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ভারত।

ম্যাচের প্রথমার্ধে ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন শাবাব আহমেদ। বিভ্রান্তির মাঝে এক কর্নার থেকে বাংলাদেশি ডিফেন্ডারের মধ্যে দিয়ে ঝাঁপিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও তারা খুবই নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলছে।

পাসিং, ফুটবলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সবই ছিল অসাধারণ। এই অর্ধে বাংলাদেশ গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচ সমতায় আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। ৬১তম মিনিটে পাকিস্তানকে পেনাল্টি দেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের আক্রমণের সময় বাংলাদেশি ডিফেন্ডার নিজের বক্সে হ্যান্ডবল করেন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

পাকিস্তানের আব্দুল রেহমান সহজেই গোল করেন। পরের মিনিটেই পাকিস্তানের আক্রমণ ফিরে আসে পোস্ট লক্ষ্য করে।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও থামতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ৭৫ মিনিটে মিঠু চৌধুরী কর্নার থেকে গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। ৯০ মিনিট শেষে ৭ মিনিটের ইনজুরি টাইম দেন রেফারি।

ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বদলি খেলোয়াড় মানিক সমতাসূচক গোল করে পাকিস্তানি রক্ষণকে শক্ত আক্রমণে হারিয়ে খেলাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *