প্রকৃতি এখন বেশ খামখেয়ালি। এই বৃষ্টি তো আবার প্রচণ্ড গরম। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় ত্বকের অবস্থাও নাজেহাল। এই ঘাম ছুটছে দরদর করে তো পরক্ষণেই কড়া রোদে পুড়ছে আচ্ছা মতো।
আবার প্রচণ্ড গরমে, ক্লান্তিতে চোখ-মুখ ফুলে হয়ে যায় একাকার। এ অবস্থায় আপনাকে পরম শান্তি দিতে পারে আইস ফেসিয়াল। ত্বকের পোড়া দাগ, চোখের নিচের কালি বা ফোলাভাব দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
তাই এই গরমে আপনার ত্বক সতেজ রাখতে বেছে নিন ‘আইস ফেসিয়াল’। এর ফলে আপনার ত্বকের জ্বালাভাব থেকে যেমন স্বস্তি পাবেন, তেমনই দূর হবে অন্যান্য অনেক সমস্যা। বিশেষ করে ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর হয়ে, ত্বক থাকবে আর্দ্র।
রুক্ষ বা শুষ্কতার সমস্যাও দেখা যাবে না। ত্বকের জেল্লা ফিরে যাবে মাত্র কয়েকদিনেই। তাই এই গরমে আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন থাকুক এই ‘আইস ফেসিয়াল’।
গরমকালে একটু সেনসিটিভ স্কিন হলে, লাল হয়ে যাওয়া বা অ্যালার্জি কিংবা র্যাশের সমস্যাও দেখা দেয়। এসব সমস্যার সমাধান রয়েছে আইস ফেসিয়ালে। প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর যেসব জায়গায় জ্বালাভাব কিংবা র্যাশ দেখা দিয়েছে সেখানে আইস কিউব অর্থাৎ বরফের টুকরো আলতো হাতে ঘষে নিন। চাইলে বরফের টুকরো গায়ে সামান্য মধু লাগিয়ে নিতে পারে। বিশেষ করে চোখের চারপাশে এই বরফে টুকরো আলতো হাতে বুলিয়ে মাসাজ করলে দারুণ আরাম পাওয়া যায়। চোখের ফোলা ভাব এবং ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও কমে যায়।
ত্বকের বিভিন্ন বিভিন্ন পোর্স দেখা যায়। এসব পোর্সের মধ্যে ময়লা জমে ত্বক তেলতেলে করে দেয়। আইস ফেসিয়ালের সাহায্যে এসব পোর্স পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি আয়তনেও সংকুচিত হয়ে যায়। তার ফলে আর ময়লা জমে অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এই পোর্স আসলে রোমকূপেরই অংশ। যেগুলো আয়তনে বড় হয়ে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের গঠন নষ্ট হতে পারে।
বরফের টুকরো আলতো হাতে ঘষে সারা মুখে মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালৈা হয়। তাছাড়া বরফের পানি টোনার হিসেবেও খুব ভালোভাবে কাজ করে। আপনার ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি ঔজ্বল্যও ফিরিয়ে আনে।
ব্রণর সমস্যা কমায় এবং ত্বক আর্দ্র রাখে। তার ফলে ত্বক রুক্ষ কিংবা শুষ্ক লাগে না। আর ত্বকের তেলতেলে ভাব যেহেতু দূর হয় তাই ব্রনর সমস্যাও কমে যায় ধীরে ধীরে।
Leave a Reply