বাসার সামনে বালুর ট্রাক রেখে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে যেতে বাধা এবং তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সাবেক ছাত্রদল নেতা শরীফুল ইসলাম শাওন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এ ছাড়া এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ ডাক দেয়ার পর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক এনে রাখা হয়েছিল। সেই সময়ও খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হয়েছিলেন। এভাবে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রেখে ২০১৪ সালে একটি একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। বলা হয়, এ ঘটনার পরই কার্যত দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলে তারা।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা গোপন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন যে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে কোনোভাবে খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের হয়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেয়া যাবে না। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা মারণাস্ত্র, লাঠি, বন্দুক, টিয়ারশেলসহ যুদ্ধক্ষেত্রের মতো সজ্জিত হয়ে গুলশান-১ ও ২, বনানী, বারিধারা ডিওএইচএস ও আমেরিকান দূতাবাসসহ আশপাশের এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও ডিবিসহ ২৮ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান নেয়। সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দেয়।
সে সময় আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর ও গণহারে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ২৮ ডিসেম্বর খালেদ জিয়ার গুলশান অফিসের সামনে কয়েকটি বালুর ট্রাক রাখা হয়। অফিসের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। খালেদা জিয়া যেন সমাবেশে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য রাস্তায় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। এতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, যা সংবিধান পরিপন্থি ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন।
সমাবেশে অংশ নিতে খালেদা জিয়া বারবার বের হওয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা বের হতে বাধা দেন। ওই দিন বাসভবনের সামনের দুই পাশের রাস্তায় বালুর ট্রাক দিয়ে বাধা সৃষ্টি করা এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মামলাটি এখনও রেকর্ড হয়নি বলে জানা গেছে।
Leave a Reply