শেরপুরে ভয়াবহ বন্যা, আরো ৩ জেলায় শঙ্কা!

অতি ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা ঢলে শেরপুর জেলার নলিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলার নিম্নাঞ্চলও। তবে আগামীকাল শনিবার দুপুরের পর আবার নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টায় ভোগাই নদী শেরপুর জেলার নাকুগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০৫ সেন্টিমিটার এবং জিঞ্জিরাম নদীর পানি জামালপুরের গোয়ালকান্দা পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, ময়মনসিংহ বিভাগের ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বাড়ছে যা শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে শেরপুরের ভোগাই নদীর ভাটিতে নেত্রকোণার কংস নদী ও জামালপুরের জিঞ্জিরাম নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে ভোগাই-কংস নদী সংলগ্ন শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা এবং জিঞ্জিরাম নদী সংলগ্ন জামালপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে শনিবারই আবার বৃষ্টি কমে এসব নদীর পানি কমতে পারে।

পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান শুক্রবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেই শেরপুর জেলার ভোগাই-কংস নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) প্রায় সাড়ে ৬ মিটার পানি বেড়েছে এখানে। এর মূল কারণ শেরপুর জেলা ও সংলগ্ন সীমান্তবর্তী স্থানে এবং ভারতের মেঘালয় অঞ্চলে আকস্মিক ভারি বৃষ্টিপাত। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও পয়েন্টে ২৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

শেরপুরের এই পানির প্রবাহের ফলে ভাটিতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলাতেও ভোগাই-কংস নদীর পানিও বাড়ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *