ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, প্রতি পিসের দাম কত!

ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তৃতীয় চালানে দেশে ঢুকলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম। প্রতি পিস ডিমের দাম পড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ টাকা। এর আগে, দুই চালানে আনা হয় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯০ পিস ডিম।

রোববার বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো দ্রুত খালাস করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ও দ্বিতীয় চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করা হয়।

জানা গেছে, আমদানি করা ১ হাজার ১০৪ প্যাকেজ ডিমের ইনভয়েজ মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি পিস ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ টাকা ৭০ পয়সা। নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৮৩ পয়সা যোগ করলে সবমিলিয়ে প্রতি পিস ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৭ টাকা। এরপর গোডাউন রেন্ট, এলসি খরচ, ট্রাক ভাড়া যোগ হবে। সবমিলিয়ে প্রতি পিস ডিমের খরচ পড়বে সাড়ে ৮ টাকা।

তৃতীয় চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করেছে ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র জমা দিয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।

বেনাপোল প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর ডিমগুলো পরীক্ষণ করা হবে। এরপর খালাস দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *