আজ দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই ৩৭ বছর বয়সি এ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে চলছে সমালোচনা। চলমান ভারত সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেমে করতে পারেননি ১ রানের বেশি। তাতে সমালোচনা হয় আরও জোরালো, এর মাঝেই রিয়াদ নিলেন অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। ভারত সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ২০ ওভারের ফরম্যাটে আর দেখা যাবে না সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে।
সব ঠিক থাকলে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শানিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটাই হবে মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দেশের মাঠ থেকে, দেশের দর্শকদের সামনে থেকে কেন অবসরে যেতে চাইলেন না? রিয়াদের সহজ উত্তর, ‘যদি ভাবি বাংলাদেশ থেকে অবসর নেব, অনেক দেরি হয়ে যাবে। এটা আমার জন্য এবং দলের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত হবে না। আমার মনে হয়েছে এটাই সেরা সময়। আমি বিশ্বাস করি, সিদ্ধান্তটা ভালো হয়েছে।’
বিদায় বেলায় রিয়াদ জানিয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই,’আমার কোনো আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের হয়ে খেলার সময় কোনো পর্যায়ে কখনই আমার আক্ষেপ ছিল না। আমি সবসময় টিম ম্যান হতে চেয়েছি, যে পজিশনেই খেলি না কেন। আমার দায়িত্ব পালন করতে সচেষ্ট ছিলাম। কোনো আফসোস নেই।’
এর আগে অবসরের ঘোষণা দিয়ে শুরুতেই মাহমুদুল্লাহ বলেন,‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের বিশ্বকাপের (টি-টোয়েন্টি) কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’
বিদায়ের নেওয়ার মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ স্মরণ করলেন তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা সময় শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সেই অনবদ্য ইনিংস দুটি কথা, ‘ক্যারিয়ারে কতটা সফল হয়েছি তা আমি বলতে পারব না। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। অনেক সময় সফল হয়েছি, অনেক সময় হইনি। তবে এসব নিয়ে এখন আর ভাবছি না।’
Leave a Reply