বাংলাদেশকে সুখবর দিলো সৌদি আরব!

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকার সম্মতি দিয়েছে, যা একটি নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৬ অক্টোবর সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া এই সম্মতি প্রকাশ করেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদি সরকার সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে আপত্তি না থাকলেও, এটি বাস্তবায়নের জন্য সৌদির বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আরও আলোচনার প্রয়োজন হবে।

এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে হজযাত্রীদের জন্য বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি হবে, যা বিশেষ করে বিমান ভ্রমণ খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং একটি নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।

এ বছর পরীক্ষামূলক পানিপথে জাহাজযোগে দু-তিন হাজার হাজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক বা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।

এ বছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের মতো এজেন্সিপ্রতি ২৫০ জন কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে সহায়তা করেন সে দেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামি।

এ সময় ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম ও হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *