হ্যাঁ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী পিচের বাইরে থেকে বল করা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। আইসিসির আইন অনুসারে, বোলারের প্রতিটি ডেলিভারি পিচের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পড়তে হবে। যদি বোলার পিচের বাইরে থেকে বল করেন, তবে তা নিয়মবহির্ভূত বলে গণ্য হয় এবং আম্পায়ার সেই বলকে **নো বল** ঘোষণা করবেন।
আইসিসির নিয়ম ২১.৭ অনুযায়ী, “যদি বোলার বল করার সময় পুরোপুরি পিচের বাইরে থেকে ডেলিভারি করেন এবং বল ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইকিং ক্রিজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তবে সেটি একটি নো বল হিসেবে ধরা হবে।” অর্থাৎ রিয়ান পরাগের পিচের বাইরে থেকে বল করার কৌশলটি আইসিসির এই নিয়মের বিপরীত এবং সঠিকভাবে আম্পায়ার সেটিকে নো বল বলে ঘোষণা করেছেন।
এই ধরনের কৌশল নতুন বা অভিনব হলেও, আইসিসির নিয়মের আওতায় তা বৈধ নয়।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কে বল করছিলেন পরাগ। বল করার সময় হঠাৎই বাঁ দিকে বেশি চলে যান তিনি। হাত ও পুরোপুরি ঘোরাননি এই স্পিনার। কাঁধের পাশ দিয়ে অনেকটাই নিচু থেকে বল ছাড়েন পরাগ। তাঁর এরকম অদ্ভুত বল দেখে ঘাবড়ে যান মাহমুদউল্লাহ। বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি।
পরাগ যে কৌশলে বল ডেলিভার করেছিলেন তা ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু বল করার সময় পরাগের পা পপিং ক্রিজ়ের বাইরে চলে গিয়েছিল। বল করার সময় কোনো বোলার যদি তাঁর পিছনের পা পপিং ক্রিজ় স্পর্শ করেন বা তার বাইরে চলে যাই তাহলে তা ক্রিকেটের নিয়মের বহির্ভূত হবে। ফলে বলটি আর বৈধ হবে না। এই জন্য আম্পায়ার নো ডাকেন।
এ দিন পরাগ বল ছাড়ার সময় তার পিছনের পা পিচের বাইরে চলে গিয়েছিল। এটা ক্রিকেটের নিয়ম বিরুদ্ধ। সেই কারণেই নো বল ডেকেছেন আম্পায়ার। একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গতকাল ভারতের দেয়া ২২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৮৬ রানের বড় পরাজয় বরণ করে বাংলাদেশ। ফলে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ১ ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ খোয়ালেন শান্ত বাহিনীরা।
Leave a Reply