স্ত্রীসহ লন্ডনে ঘুরছেন পাপন, কাটাচ্ছেন রোমান্টিক মূহুর্ত!

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের খোঁজ পাওয়া গেছে লন্ডনে। সেখানকার বাঙালি একটি রেস্টুরেন্টের সিঁড়িতে বসে থাকার ছবি পাওয়া গেছে।

রেস্টুরেন্টের সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবিতে দেখা যায়, পাপন কালো শার্ট ও প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় স্ত্রীর পাশে বসে আছেন। স্ত্রীর পরনে সাদা প্রিন্টের সালোয়ার কামিজ ও কালো ওড়না ছিল।

জানা গেছে, ওই রেস্টুরেন্টটি একজন প্রবাসী বাংলাদেশির। যিনি পাপনেরই বেশ ঘনিষ্ট। তিনি সস্ত্রীক সেখানে খাবার কিনতে গেলে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ডাউনস্টেয়ারে। পরে সেখানকার একজন বাংলাদেশি কর্মচারী সিসিটিভির ফুটেজ থেকে তাদের বসে থাকার মুহুর্ত সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন অপর বন্ধুর কাছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি পাপনকে। এমনকি ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাকে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি তার কোনো জবাব দেননি। এতে সবার মনে এখন প্রশ্ন পাপন কোথায়?

পাপনের জাতীয় সংসদের পদ চলে গেলেও ক্রিকেট বোর্ডের নতুন কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বৈধ সভাপতি। যে কারণে সংসদ সদস্য পদ বিলুপ্ত হলেও তার সভাপতির পর বহাল ছিল।

পাপনের ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দুই সপ্তাহ আগেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তিনি সস্ত্রীক দেশত্যাগ করেন। তার এক যুগের ক্রিকেট কেলেঙ্কারির দোসর হিসেবে চিহ্নিত ইসমাইল হায়দার মল্লিকও সে সময় দেশত্যাগ করে লন্ডন চলে যান।

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পাপন। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন পাপন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরদিন ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।

জানা গেছে, পাপন প্রথমবার বিসিবির সভাপতি হন ২০১২ সালে। তারপর ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন পাপন। আর সবশেষ চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে দায়িত্ব নেন। সেই কমিটির হিসেবে পাপনের বর্তমান মেয়াদ শেষ হবার হতো ২০২৫ সালে। পাপন ছাডাও পরিচালকদের মধ্যেও অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরিই যুক্ত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *