বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এখনো পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি পেতে পারেনি, এমন অভিযোগ অনেক দিনের। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক সময়মতো না পাওয়া, টুর্নামেন্টের সম্প্রচার মানহীন হওয়া, এবং দর্শকদের আগ্রহ হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যা ফ্র্যাঞ্চাইজির কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার দুপুরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পরিদর্শনে যান এবং সেখানে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বিপিএলের উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিকেটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত করতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হবে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বিপিএলকে একটা টুর্নামেন্ট হিসেবে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে চাই। বিসিবি অবশ্যই বড় ভূমিকাটা রাখবে। তবে আমার মনে হয়েছে, আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু অলিম্পিকের মতো ইভেন্টের ডিজাইনে সাহায্য করতেন, তিনি সর্বশেষ অলিম্পিকেও বড় একটা ভূমিকা রেখেছেন, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে আমরা যদি তাঁর সেই অভিজ্ঞতা ব্যবহার না করি, সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে।’
সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের আয়োজন করেন। এই বৈঠকে ড. ইউনূস বিপিএলে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুনত্ব আনার জন্য কিছু সৃজনশীল ধারণা উপস্থাপন করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বিপিএলকে কীভাবে আন্তর্জাতিকভাবে আরও স্বীকৃত করা যায় এবং কী কী নতুনত্ব যুক্ত করা যায়, তা থেকে বিসিবি আজ একটা প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। স্যারও আরও বিস্তারিত আইডিয়া দিয়েছেন। দিন দুয়েকের মধ্যে আমরা আবারও বসব। আমরা চাই এবারের বিপিএলটাকে নতুন করে সাজাতে এবং এবারের বিপিএল যেন আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন উদ্দীপনা নিয়ে আসে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘নতুন শুরু সব সময়ই করা যায়, যেখান থেকে আমরা উত্তরোত্তর ভালো করতে পারি। চমৎকার কিছু আইডিয়া আছে। আমরা চেষ্টা করব সেগুলো বাস্তবায়ন করতে। আপনারা এই বিপিএলে অবশ্যই নতুন কিছু দেখতে পাবেন, যেটাতে আপনাদের সম্পৃক্ততা থাকবে। দর্শক, মিডিয়া…সবাই যেন টুর্নামেন্টটার সঙ্গে সম্পৃক্ততা অনুভব করে।’
Leave a Reply