বাতিল পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ হয়েছে যেভাবে!

এবার এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা হয়েছে আর কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বাতিল পরীক্ষাগুলোর নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং করে)। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে এরই মধ্যে ফলাফল প্রস্তুত করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

এবার এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। যার কারণে ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল।

একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয় এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরবর্তীতে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও নানা কারণে সম্ভব হয়নি। পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নিতে চাইলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।

বাতিল করা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারন করা হয়েছে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং)। সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুসারে জানা যায়, ইতিমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

তবে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *