একটি গাছ থেকে যদি অনেকগুলো চারা গাছ তৈরি করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে গাছে কলম করার পদ্ধতি। যেহেতু এখন জুন মাস চলছে তাই চারা উৎপাদন কিংবা কলম গাছ তৈরির এটিই আদর্শ সময়।
কলম গাছ তৈরির জন্য যে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তাহলো যে গাছ থেকে অনেকগুলো চারাগাছ তৈরি করবেন সে গাছটি অবশ্যই ভালো জাতের হবে।
খেয়াল করবেন গাছটি যেন সুস্থ, নীরোগ, তরতাজা হয়। গাছের ডালগুলো যেন হয় মোটা ও সবুজ। যদি এমন গাছ পেয়ে যান তবে সে গাছ থেকে কলম চারা তৈরি করতে পারেন।
গাছে কলম পদ্ধতি উপায়ে চারা তৈরির জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন সেগুলো হলো-
১। কলম তৈরির জন্য দুই বছর বয়সী গাছ নির্বাচন করুন।
২। যদি দুই বছর বয়সী গাছ না পান তবে ডালের দিকে খেয়াল করুন। পেনসিলের মতো মোটা ডাল আছে এমন গাছ নির্বাচন করুন।
৩। মনে রাখবেন, সব ডাল কলমের জন্য উপযোগী নয়। চারা তৈরির জন্য ডালে গিট আছে এমন বেছে নিতে হবে।
৪। যে ডালে গিট আছে সে ডাল থেকেই চারা তৈরি হবে। এরজন্য গিঁটের নিচে থেকে ডালটি কেটে নিন।
৫। এবার ডালটির গিঁটের নিচের অংশের বাকল ধারালো ছুরির সাহায্যে তুলুন।
৬। জৈব সারমিশ্রিত ৩ ভাগ এঁটেল মাটি, ১ ভাগ পচা গোবর বা পচা পাতা ও পানি দিয়ে মাটির পেস্ট তৈরি করে বাকল তোলা গিঁটের নিচের অংশে লাগান।
৭। মাটির পেস্ট হবে আটার রুটি তৈরির মতো বলের মতো। ডালে এ মাটি লাগিয়ে দেয়ার পর তার ওপর পলিথিন মোড়াতে হবে।
৮। এবার মোড়ানো পলিথিন যেন ডাল থেকে সরে না যায় এজন্য সুতলি দিয়ে তা বেঁধে দিন। খেয়াল রাখবেন বেঁধে দেয়া পলিথিনের ভেতরে থাকা মাটি যেন শুকিয়ে না যায়।
৯। এভাবে টানা তিন মাস সময় পার হওয়ার পর সেখানে শিকড় বেরোতে শুরু করবে।
১০। ব্যাস, শিকড় বড় ও খয়েরি রং ধারণ করলে ডালটি কেটে নিন। এ অবস্থায় চারা গাছটি পলিথিনের ভেতরে মোড়ানোই রাখুন। প্রয়োজন অনুসারে পানি ছিটিয়েও দিতে পারেন শিকড় ও পাতায়। এভাবে দুই সপ্তাহ পার হলে টবের মাটিতে চারা গাছটি লাগিয়ে নিন।
Leave a Reply