শিল্পী ও কলাকুশলীদের যে বার্তা দিলেন ওমর সানী!

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীরা আত্মগোপনে রয়েছেন, তাদের প্রকাশ্যে আসার বার্তা দিয়েছেন নব্বই দশকের তারকা অভিনেতা ওমর সানী।

মঙ্গলবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় সিনেমার শিল্পীদের আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। যেখানে ওমর সানী স্পষ্ট বলেন, তোমাদের যে অপরাধ, মনে হয় না এর জন্য ফাঁসি হবে। তাই তোমার উচিত প্রকাশ্যে আসা।

প্রায় সাড়ে চার মিনিটের ওই ভিডিওর শুরুতেই ওমর সানী বলেন, ‘যারা আমার ফিল্ম আর্টিস্ট, তাদের নিয়ে আজকে কথা বলবো এবং যারা সংগীতের আর্টিস্ট। সরকার পতনের পর যারা পালিয়ে আছো, লুকান্তরে আছো- তাদের উদ্দেশে এই কথাগুলো বলছি।’

এরপর আত্মগোপনে থাকা শিল্পীদের উদ্দেশে ওমর সানী বলেন, ‘তোমাদের পালিয়ে থাকার তো দরকার নাই। তোমরা দল করেছো, দলের সাথে জড়িত ছিলে। মাঝেমধ্যে কিছু পকপক করেছো, এই যা। মার্ডার তো করো নাই, মার্ডার করছো? হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করছো? জানি না। আমার মনে হয় পালিয়ে থাকার চেয়ে প্রকাশ্যে এসে কথা বলা উচিত। কিছু মানুষ গালি দিবে, সেটা সহ্য করতে হবে। কিছু মানুষ বিদ্রুপ করবে, কিন্তু তোমাদের ভুলগুলো দোষগুলো স্বীকার করতে হবে।’

পালিয়ে থাকার চেয়ে প্রকাশ্যে এসে দোষ স্বীকার করার আহ্বান জানিয়ে এই নায়ক বলেন, ‘পালিয়ে না থেকে আমার মনে হয় প্রকাশ্যে এসো তোমরা বলো যে, আমরা অমুকটা করেছি, যা ঠিক হয়নি। অপরাধ করে থাকলে বিচার হবে, বড়জোর কিছুদিন রিমান্ডে থাকতে পারো। আমার তো মনে হয় না তোমাদের যে অপরাধ, তার জন্য ফাঁসি হবে। যারা কাপুরুষ, তারা পালিয়ে থাকে। তোমরা শিল্পীরা কেন পালিয়ে থাকবা!’

ফিল্ম আর্টিস্টদের নিয়ে সানী বলেন, ‘আমার ফিল্মের সহকর্মী, আর্টিস্ট টেকনিশিয়ানস- তোমরা যারা পালিয়ে আছো, তোমাদের তো পালিয়ে থাকার দরকার নেই। প্রকাশ্যে আসো। দরকার হলে জেলে যাও। জেলে তো রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি থেকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ; অনেকেই যায়। পালিয়ে থাকার চেয়ে জেলখানায় থাকাও ভালো। সেজন্যই বলি, পালিয়ে থাকার চেয়ে প্রকাশ্যে এসে মানুষের সাথে কথা বলো। ধরা দাও, দরকার হলে জেলে যাও। আমার দৃষ্টিতে এটাই বলে, কার দৃষ্টিতে কী বলবে আমি জানি না। আমার কাছে মনে হয়েছে, তোমাদের উদ্দেশে এটা বলা উচিত; আমি বললাম এবং প্রকাশ্যেই বললাম, কে কী ভাবছেন তা জানি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *