কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ভারত ‘ভয়াবহ ভুল’ করেছে।
তিনি তার দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। কানাডাভিত্তিক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদদের টার্গেট করার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিবাদে এটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করল।
কানাডা ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার দুই দিন পর বুধবার (১৬ অক্টোবর) ট্রুডো এ মন্তব্য করেছেন।
কানাডার ভেতরে ‘স্বাধীন খালিস্তান’ পন্থি এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার খুনের সঙ্গে ওই ছয় কূটনীতিকের সম্পর্ক ছিল অভিযোগ অটোয়ার।
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার এক বছর ধরে বিবাদ চলছে আর এতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন এক তলানীতে নেমেছে। এই পুরো সময়ে এবারই প্রথম ট্রুডো বিষয়টি নিয়ে এমন কড়া মন্তব্য করলেন।
ট্রুডো বলেন, ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরো পরিষ্কার ইঙ্গিত রয়েছে’ যে তাদের ভূখণ্ডে শিখ ভিন্ন মতালম্বীদের ওপর টার্গেট করে কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে ভারত।’
বহিস্কৃত ছয় জন ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে কানাডায় একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার এবং ব্যাপক অর্থে সে দেশে ভারতীয় ভিন্ন মতাবলম্বীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ রয়েছে।
এক বছর ব্যাপী বিবাদটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে গেছে এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ছিল এ সময়ের মধ্যে সব চেয়ে কঠোর মন্তব্য।
কানাডার রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত বিষয়ে তিনি বলেন , ‘ভারতীয় সরকার এটা ভেবে মারাত্মক ভুল করেছে যে তারা, যেমনটি আগে করেছিল, কানাডার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আগ্রাসীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবে।’
ট্রুডো বলেন, অটোয়া কানাডার অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কিন্তু, তিনি বিস্তারিত এ বিষয়ে আর কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রুডোর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই লাইনের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ট্রুডোর জবানবন্দিতে নয়া দিল্লির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে যে ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কানাডা কোনো প্রমাণ দেয়নি।
ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লিতে থাকা কানাডার ছয় জন কুটনীতিককে বহিস্কার করেছে।
Leave a Reply