বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ সাকিব আল হাসানের দেশে ফেরা ঠেকাতে গতকাল বিসিবির সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছিল। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের আশপাশের দেয়ালে নানা স্লোগান লিখেছেন এঁকেছিলেন গ্রাফিতিও। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্রিকেট বোর্ডের বারণ ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরেনি টাইগার অলরাউন্ডার।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের দৃশ্যপট একেবারেই ভিন্ন। সাকিবকে দেশে ফেরানোর দাবিতে তার ভক্ত-সমর্থকরা বিক্ষোভ আরম্ভ করেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাকিবিয়ানের ব্যানারে শুরু হয় তাদের কর্মসূচি।
বিক্ষোভে উপস্থিত সকলে সাকিবের পক্ষে দিতে থাকেন স্লোগান। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক কেন দেশে আসতে পারেননি, সেজন্য বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে সমর্থকরা জবাব চান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসছেন না সাকিব। দুবাইয়ের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার একটি ফ্লাইটে এ অলরাউন্ডারের দেশে ফেরার কথা ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে তার আসা হয়নি।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমি নিজেও চেয়েছি সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রথম দিকেই বলেছি, সাকিব আল হাসানের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে যা স্বাভাবিক।’
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় হত্যা মামলা। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের দেশে ফেরাটাই ছিল অনিশ্চিত। দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাটাও অপূর্ণ থাকার সম্ভাবনাই ছিল প্রবল।
অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে পাওয়া আশ্বাস ও বিসিবির সবুজ সংকেত পাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে জায়গা পান সাকিব। বুধবার ঘোষিত ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়ার সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে গেছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তার বিদায়ী টেস্ট খেলতে আসা হচ্ছে না।
ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ চলাকালীন টি-২০ এবং টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। টি-২০ বিশ্বকাপকেই ওই ফরম্যাটে তার শেষ বলে অভিহিত করে তিনি জানান, নিরাপত্তা পেলে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চান।
Leave a Reply