সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ : জলোচ্ছ্বাস নিয়ে যা জানালেন আবহাওয়াবিদ পলাশ!

নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপের রেশ কাটতে না কাটতেই কার্তিকের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস পাওয়া গেছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘ডানা’।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভব্য উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।

তিনি জানান, সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলায় স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ৫ থেকে ৮ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ২ থেকে ৫ ফুট বেশি (ভাটার সময়) জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলায় স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ১ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়) জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

নোয়াখালী, চট্টগ্রামে স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ২ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়) জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

কক্সবাজারে স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ২ থেকে ৪ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ১ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়) জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

পলাশ জানান, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৩ অক্টোবর মধ্য রাতের পর থেকে ২৪ অক্টোবর মধ্য রাতের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় একই পথে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে পথে ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থলভাগে আঘাত করে অগ্রসর হয়েছিল। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মেদনিপূর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *