ইরানের ‘সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ১৪০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের প্রায় ২০টি স্থানে আঘাত করার পর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা নাগাদ ইসরায়েল হামলা সমাপ্ত ঘোষণা করে।
কয়েক মাস ধরে ইরানের ধারাবাহিক হামলার’ জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে ‘আত্মরক্ষার’ অংশ হিসেবে ইরানে এই হামলা করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ইরানের এয়ার ডিফেন্স ফোর্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তারা বলেছে এসব হামলাকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় ‘সীমিত ক্ষতি’ হয়েছে।
দেশটি আরো জানিয়েছে, হামলা শেষে তাদের বিমানগুলো নিরাপদে দেশে ফিরেছে। এছাড়া ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রক্রিয়াসহ ইরানের আকাশ সক্ষমতাকে টার্গেট করে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে তেহরানের দুই বিমানবন্দরের কার্যক্রম ‘স্বাভাবিক’ ভাবেই চলছে। যদিও ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন।
তবে তারা বলেছেন এই শব্দ ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম কার্যকর’ করার কারণে হতে পারে। ইরানের রিভল্যুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি বার্তা সংস্থা বলছে তেহরানের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে কিছু সামরিক ঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। ইসরায়েল পাল্টা হামলা করবে, এমন আশঙ্কা গত ১ অক্টোবরের হামলার পর থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছিল আন্তর্জাতিক ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। অবশেষে সেই আশঙ্কা সত্য হলো। হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের অপারেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশান নিহত হওয়ার পর ইরান ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরান থেকে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সেই ঘটনারই জবাব দিল ইসরায়েল।
Leave a Reply