হঠাৎ আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের মিলনমেলা, ছিলেন হাসিনা!

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপি ও সরকার ঘনিষ্ঠ ৩৪ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা শতাধিক মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক ৪ মন্ত্রীসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান ও মো. ইমরান আহম্মেদের পৃথক দুটি আদালত শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এদিন সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে আদালতে নেওয়া হয় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এসব উপদেষ্টা, মন্ত্রী, এমপি ও ঘনিষ্ঠজনদের। এরপর একে একে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে শতাধিক মামলায় তাদেরকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক কাউন্সিলির হাসিবুর রহমান মানিক, ডিএপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক ডিসি মশিউর রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এছাড়া, রাজধানীর পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে হাইকোর্টের জাল ভোটের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় পাঁচদিন ও বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রের তিনদিন ও যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ধানমন্ডি থানার মামলায় তিনদিন ও বংশাল থানার মামলায় চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া নিউমার্কেট থানার মামলায় বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল, চকবাজার থানার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, ধানমন্ডির থানার হত্যা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু ও চকবাজার থানার মামলায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকতের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

একদিনে এত আসামিদের আদালতে তোলাকে মানুষ দেখছেন মন্ত্রীদের মিলনমেলা হিসাবে।তবে সবাইকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও মিলন মেলায় ছিলেন না হাসিনা।নেটিজেনরা বলছেন খুব শীঘ্রই এই মিলন মেলায় যুক্ত হবেন হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *