স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম জনপ্রিয়। বাদামে রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। কাঁচা বাদাম এবং ভাজা বাদাম দুই বাদাম শরীরের জন্য উপকারী তবে পুষ্টিগুনে কে বেশি এগিয়ে এই প্রশ্ন প্রায় সবার। স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রশ্নের জবাবের উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে উত্তর মিলেছে।
ভাজা নাকি কাঁচা
আমরা প্রায়ই দ্বিধায় পড়ি ভাজা নাকি কাঁচা কোন বাদাম খাওয়া বেশি ভালো। আসলে দুই ধরনের বাদামেই রয়েছে উপকারিতা। কাঁচা বাদামে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার ভাজা বাদাম হারিয়ে ফেলে কিছু পুষ্টিগুণ। অনেকেই ভাবেন বাদাম কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো নাকি ভাজা? বাদাম ভাজার কারণ এর পুষ্টিগুণ আবার কমে যায় কিনা। জেনে নেওয়া যাক ভাজা আর কাঁচা বাদামের পার্থক্য-
১. স্বাদ এবং রঙে পরিবর্তন থাকলেও বাদাম যেকোনো ভাবে খাওয়া অনেক উপকারী। যদিও ভাজা বাদামে তেল ও ক্যালরির পরিমাণ একটু বেশি থাকে। তবে পার্থক্য খুবই সামান্য।
২. ভাজা বাদামে যে অনন্য স্বাদ, রঙ এবং গন্ধ থাকে তা মেলার্ড নামক রাসায়নিক যৌগ গঠন করতে পারে। এই মেলার্ড অ্যামিনো অ্যাসিড অ্যাসপারাজিন এবং বাদামের গ্লুকোজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৩. বাদামে প্রচুর মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এসব ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদয়কে সুরক্ষিত রাখে। কিছু পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট তাপের সংস্পর্শে আসলে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেক্ষণ ধরে রান্না করা বা উচ্চ তাপে ভাজা বাদামে এসব উপাদান ক্ষতিগ্রস্থ এবং অক্সিডাইজ হয়ে যায়।
৪. ভিটামিন ‘ই’, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস- এসব উপাদানের অন্যতম উৎস বাদাম। এসব উপাদান তাপের প্রতি সংবেদনশীল। এরফলে তাপ দেওয়া বাদামের এসব উপাদান হারিয়ে যেতে পারে।
Leave a Reply