হরমোন হলো এক ধরনের জৈব রাসায়নিক তরল। আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি রয়েছে সেসব গ্রন্থি থেকে এসব তরল নিঃসরণ হয় এবং আমাদের শরীরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা এদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ইদানীং মেয়েদের ক্ষেত্রে হরমোনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে বেশি। অনেকে এইরকম সমস্যা হলেও বুঝতে পারেন না।
এই সমস্যা দেখা দিলে খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে নজর দিতে হবে। খাদ্য ব্যবস্থাপনা রোগীর দৈহিক ওজন সঠিক রাখবে আর হরমোনের সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
তাহলে জেনে নিই হরমোন ভারসাম্যহীন হলে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে?
১. অনিয়মিত পিরিয়ড: এই সমস্যার মধ্য দিয়ে গেলে মেয়েদের ৪০ বা ৪৫ বা ৫০ দিন বা কারও কারও ক্ষেত্রে আরও বেশি দিন পর পিরিয়ড থাকতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অল্প মাত্রায় হতে পারে, কারও কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। তবে হরমোনের সমস্যায় ভুগলে মাসের পর মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
২. বন্ধ্যত্ব : পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের কারণে নারীদের বন্ধ্যত্বের সমস্যা বেশি দেখা যায়। আর এ বন্ধ্যত্বের কারণ হলো- ঋতুচক্রের অনেকগুলোতেই ডিম্বানুর অনুপস্থিতি।
৩. পুরুষালি হরমোন: এই হরমোন অধিক মাত্রায় উপস্থিতিও এর বহিঃপ্রকাশ। এতে নারীর শরীরে পুরুষদের মতো লোম দেখা দিতে পারে (হার্সোটিজম), মুখে বা শরীরের অন্যান্য জায়গায় ব্রণ হওয়া ইত্যাদি।
৪. মেটাবলিক সিন্ড্রোম: এতে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নারীর দেহে ইনস্যুলিন রেজিস্ট্রেন্সের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে- ক্রমশ দৈহিক ওজন বৃদ্ধি হওয়া, ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়া, দুর্বলতা, স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা, ঘাড়ের পিছনে বা বগলে নরম কালো ত্বকের উপস্থিতি, রক্তের গ্লুকোজ কিছুটা বেড়ে যাওয়া, কলেস্টেরল অস্বাভাবিক থাকা ইত্যাদি।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকায় শর্করার আধিক্য কম থাকাই ভালো, শাকসবজি (আলু বাদে), রঙিন ফলমূল ও আমিষজাতীয় খাদ্য প্রাধান্য পাবে।
Leave a Reply