ভারতের গুজরাট রাজ্যে কিশোরীকে হোটেল কক্ষে নিয়ে ধ”র্ষ”ণ করার সময় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পেশায় ওই ব্যক্তি একটি হিরে কারখানার ম্যানেজার।
জানা গেছে, ধষণের শিকার ওই কিশোরী যে কারখানায় কর্মরত, সেখানেই কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ৪১ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মুম্বাইর একটি হোটেলে।
পুলিশ বলছে, ওই ম্যানেজার ওই কিশোরীর পরিবারকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য করতেন। ওই কিশোরীর বাবা অসুস্থ, ভাই বেকার। মা, বাবা, ভাইয়ের পরিবারকে সাহায্য করতেন ওই ম্যানেজার।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীকে ম্যানেজার ভয় দেখাতেন, তার কথা না শুনলে বাড়িতে পাঠানো আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেবেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করে হোটেলে নিয়ে যান। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ওই কিশোরীর বাড়িতে যান ম্যানেজার। তিনি তরুণীর পরিবারকে বলেন, তিনি বাড়ির সবার সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছেন, তাই ওই কিশোরীকেও নিয়ে যেতে চান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই তরুণীকে নিয়ে তিনি চলে যান।
এদিকে, হোটেলে ঢুকেই ওই ম্যানেজার জানান, এই কিশোরী তার মেয়ে। ১৪ বছরের ওই কিশোরীর ভুয় কার্ডও তিনি দেখান হোটেলে।
পুলিশ বলছে, আমরা জানতে পেরেছি ওই কিশোরীকে হোটেলের রুমে ঢুকিয়ে দিয়েই তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে দেন ম্যানেজার।আর তখনই ঘটে বিপত্তি।
পুলিশ জানায়, সেই দিন যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর ধ”র্ষ”ণ করতে গিয়েই তিনি আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। পরে তাকে জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Leave a Reply