জড়ো হচ্ছেন শত শত মানুষ, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি, বন্ধ ইন্টারনেট!

আবারও বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। রাজ্যটিতে অপহৃত ৬ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের জেরে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানী ইম্ফল ভ্যালিতে জড়ো হন শত শত মানুষ। এ সময় টায়ার পুড়িয়ে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।

একপর্যায়ে রাজ্যটির দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে চালানো হয় হামলা। এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও হামলার চেষ্টা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় দরজা ভেঙে জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ইম্ফলে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যটির বেশ কয়েকটি জেলায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবা।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, মণিপুরে মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়ির দরজা ভেঙে জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা।

তাদের প্রতিহত করতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইম্ফলে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। সাত জেলায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট।

গত বছর থেকেই মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত বিবাদের জন্য রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। এতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর ওপরও ক্ষুব্ধ সাধারণ জনগণ। তাদের দাবি, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

শুক্রবার মণিপুর-আসাম সীমান্ত থেকে এক নারী এবং দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া শনিবার আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগেও একই গ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১০ জন স্থানীয়ের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা।

শনিবার এই হত্যা ও অপহরণের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন ইম্ফল শহরের শত শত বাসিন্দা। নির্বিচার হত্যা ও জাতিগত সহিংসতার প্রতিবাদে এইদিন ব্যানার ও পোস্টার হাতে রাস্তায় নামেন শত শত নারী।

সাধারণ মানুষকে সহিংসতার বলি না বানাতে স্লোগান দেন তারা। এসময় টায়ার পুড়িয়ে রাস্তাঘাটও বন্ধ করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে রাজ্যটির কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসময় নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *