আইপিএলে সাকিব-মুস্তাফিজ অধ্যায় কী শেষ?

শেষ হয়েছে দুই দিন ব্যাপী চলা ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম। যেখানে ১৮২ জন ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যার মধ্যে ৬২ জন বিদেশি ক্রিকেটার। তবে এ তালিকায় নেই কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম। দীর্ঘ দিন আইপিএলে সার্ভিস দেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের প্রতি ন্যূনতম আগ্রহ দেখায়নি ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটিও।

তাহলে কি শেষ হয়ে গেছে লম্বা সময় আইপিএলে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা মুস্তাফিজ ও সাকিবের ক্যারিয়ার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে সাকিব-মুস্তাফিজের? সাকিব না হয় ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে অবস্থান করছেন। কিন্তু মুস্তাফিজ তো গত আসরেও চেন্নাইয়ের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। সেই তারও কি তবে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলো?

নির্মম সত্য হয়তো এটাই। যে কারণে আসন্ন আইপিএলে দেখা যাবে না কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে। তাছাড়া ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে বরাবরই নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। বাকি দলগুলো যেখানে ব্যাট হাতে চার ছক্কায় ঝড় তুলে। রান তোলে ১৫০-২০০+ স্ট্রাইকরেটে। সেখানে বাংলাদেশি ব্যাটারদের দেখা যায় ১৩০-১৪০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেই তৃপ্তির ঢেকুর তোলতে।

সে তালিকায় তাই ব্যাটারদের তুলনায় কদর পাওয়ার কথা ছিল বোলারদের। তবে সেটিও দেখা যায়নি এবার। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তারও কারণ আছে, সবশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজে নজরটা নিজেদের দিকে টানতে পারত বাংলাদেশি বোলাররা। ভারতের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে নিজেদের বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর টানা যেত। সেই সুযোগ তৈরি হলেও তা লুফে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশি বোলাররা। বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে রেকর্ড ২৯৭ রান তুলেছে ভারত। যা জানান দেয় এই ফরম্যাটে বোলারদের অবস্থা কতটা নাজুক। এমন দলের বোলারদের নিয়ে তাই আগ্রহ বোধ করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

এর বাইরেও সমস্যা আছে। কারিকারি টাকা দিয়ে ক্রিকেটার কিনলেও শেষ পর্যন্ত পুরো মৌসুমের জন্য তাদের সার্ভিস পায় না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যার ফলে টুর্নামেন্টের মাঝপথে বিপদে পড়তে হয় তাদের। সবশেষ আসরে চেন্নাইয়ে দারুণ পারফর্ম করে নজরে আসা মুস্তাফিজ টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফিরে আসে। যাতে করে বিপদে পরে চেন্নাই। এমন ক্রিকেটারদের নিয়ে তাই দল সাজিয়ে নতুন করে বিপদে পড়তে চায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যে কারণে আসন্ন আইপিএলে দেখা যাবে না কোনো বাংলাদেশিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *