একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে এখন আলু কেজি প্রতি ৩ টাকা এবং পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। তবে তারা মনে করেন, আলু কেজি প্রতি ৩০ টাকা এবং পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা বিক্রি হলে সাধারণ মানুষ আরও স্বস্তি ফিরে পাবেন।
**দামের পরিবর্তন** বাজারে গতকাল (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছিল ৬৫ টাকা কেজি দরে এবং পেঁয়াজ ছিল ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে আজ শুক্রবার হিলি বাজারে আলু এবং পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা কেজি এবং পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে।
আহনাফ আফিফ, একজন ক্রেতা, জানান, “গতকাল দাম কিছুটা বেশি ছিল, তবে আজ দাম কমেছে। তবে এখনও দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আমরা চাই, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক, যাতে দাম আরও কমতে থাকে। আলু কেজি প্রতি ৩০ টাকা এবং পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা হলে সবার জন্য সুবিধাজনক হবে।”
**অতিরিক্ত আমদানির ফলে দাম কমছে** হিলি বাজারে আলু ও পেঁয়াজের বিক্রেতা রায়হান কবির জানিয়েছেন, “ভারত থেকে আলু এবং পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ফলে মোকামে সরবরাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি, তবে আগের তুলনায় ক্রেতাদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।”
**পণ্য আমদানি বৃদ্ধি** হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (২৮ নভেম্বর) ৫৫টি ভারতীয় ট্রাকের মাধ্যমে ১,৫২০ মেট্রিকটন আলু এবং ১৩টি ট্রাকের মাধ্যমে ৩৮০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এই বৃদ্ধির ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ে এবং দাম কমানোর প্রক্রিয়া চলমান থাকে।
**সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা** হিলি বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা আশা করছেন, যদি বাজার মনিটরিং করা হয় এবং আমদানির এই প্রবাহ অব্যাহত থাকে, তবে দাম আরও কমবে এবং সাধারণ মানুষ আলু-পেঁয়াজ কিনতে আরও বেশি স্বস্তি অনুভব করবেন।
এই পরিস্থিতি থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, নিয়মিত বাজার তদারকি ও আমদানি বৃদ্ধি হলে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের জন্য সুখবর হয়ে আসবে।
Leave a Reply