বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের তথ্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৩ তারিখেই সিদ্ধান্ত হয় শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর কাছে পদত্যাগ করবেন। তারপরও ছাত্র আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর কাছে পদত্যাগ করে ভারত চলে যান। এরপর ভারতের পরামর্শে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুলকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক তারা ছাত্র নেতাদের সাথে ৫ তারিখ বিকেলেই বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ছাত্রদেরকে সুশীলরা বলেন, আসিফ নজরুলকে প্রধান উপদেষ্টা করতে হবে। কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। তারা বললেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করতে হবে। সেই মোতাবেক ইউনূসই হয় অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুলকে দেশের মানুষ ভালো হিসেবে সবাই জানে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরগরম আলোচনা চলছে। তবে আসিফ নজরুল এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এই ভিডিওতে যা আমার নামে বলা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং আজগুবি।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, খুবই দুঃখ ও অবাক লাগে যখন দেখি আজগুবি, ভিত্তিহীন, অকল্পনীয় তথ্য দিয়ে একজন আরেকজনের পেছনে লেগে আছে। একটা ভিডিওতে নাকি দাবি করা হয়েছে, আগস্টের ৩-৪ তারিখ রাতে আমি ক্যান্টনমেন্টে (সেনানিবাসে) ছিলাম। সেখানে আর্মি অফিসারদের নিয়ে ভারতের দালালদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমি অবাক হয়ে যাই। মানুষের কল্পনারও একটা সীমা থাকা উচিত।
নেটিজেনদের একটি অংশ বলছেন, ভারত সব সময় এই দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে। তারা সব সময় চায় বাংলাদেশ যেন ভারতের দাস হয়ে থাকে। সেই মোতাবেক তারা এ দেশে অনেক সুশীলদের ক্রয় করে। আসিফ নজরুল তাদেরই একটি প্রোডাক্ট। তিনি ভারতের ইচ্ছায় সব কিছু করছেন। তাকে উপদেষ্টা করা উচিত হয়নি। যাই হোক ইলিয়াসের প্রতিবেদন নিয়ে তদন্ত করা উচিত।
নেটিজেনদের আরেকটি অংশ বলছেন, এখন কত মানুষ দেখছি দেশ নিয়ে কত কথা বলছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে যখন বাংলাদেশের ও জনগণের পক্ষে কথা বলবার জন্য হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রফেসর আসিফ নজরুল স্যার।
আপনার পাশে আগেও ছিলাম, এখনও আছি স্যার। আপনার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আসলে সেই ষড়যন্ত্রের অংশ ইলিয়াসের এই ভিডিও। আমরা আপনার পাশে আছি। আমরা জানি আপনি সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকেন। তারা ইলিয়াসকে বানোয়াট ও অপমানজনক বক্তব্য দেন ফেসবুকে।
এর আগে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ‘পুলিশ, আনসারের সমম্বয়ে গঠিত বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র গেরিলা আক্রমণের পরিকল্পনা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ইলিয়াস হোসেন। ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতেই তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
Leave a Reply