ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সাকলায়েন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েন শিথিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৩ জুন উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আবেদন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীমণির সঙ্গে সাকলায়েনের ঘটনাক্রমে দেখা হয় এবং যোগাযোগ আরম্ভ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নায়িকার বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন সাকলায়েন। বিভিন্ন সময় দিনে ও রাতে পরীমণির বাসায় তিনি অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুক আইডি এবং তাদের হোয়াটসআ্যাপ নম্বরে কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয়। বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক।
‘সাকলায়েন পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাহিরে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়’, উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত, পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন সাকলায়েন। পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর প্রথমে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।
Leave a Reply