সম্প্রতি, স্কুল-কলেজে কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে শীর্ষক মন্তব্য ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন করেছেন দাবিতে, সংবাদ মাধ্যমে ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য দেওয়ার ছবি যুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।এছাড়া, গত ডিসেম্বর মাসে একই দাবিটি টেক্সট আকারেও ফেসবুকে প্রচার হতে দেখা গেছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, স্কুল-কলেজে কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’ শীর্ষক মন্তব্য ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন করেননি। প্রকৃতপক্ষে , কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্য ও প্রমাণ ছাড়াই পুরোনো ভিন্ন ঘটনার ছবি যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এমন কোনো মন্তব্য করেছেন কিনা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, ফটোকার্ডটিতে থাকা ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আরটিভি এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না: ধর্ম উপদেষ্টা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেনটির ফিচার ইমেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে থাকা ছবির সাথে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি এ কথা বলেন।
তবে, স্কুল-কলেজে কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য ওই প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি। ভিন্ন কোনো গণমাধ্যমেও সেদিন তার এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, স্কুল-কলেজে কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’ শীর্ষক মন্তব্য ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন করেছেন দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।
Leave a Reply