বিপিএল বন্ধের পথে : অবশেষে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো রাজশাহী!

বিপিএল ২০২৫-এর চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ সামনে রেখে আজ (বুধবার) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলনের কথা ছিল দুর্বার রাজশাহীর। দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সেই অনুশীলন বাতিল করা হয়, যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

রাজশাহীর স্কোয়াডের একজন দেশি ক্রিকেটার জানিয়েছেন, টুর্নামেন্ট মাঝপথে চলে এলেও এখনো তারা কোনো পারিশ্রমিক পাননি। শুধু দেশি নয়, দলের বিদেশি ক্রিকেটাররাও এখনো তাদের পারিশ্রমিক হাতে পাননি বলে জানান তিনি। তাই ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হওয়ায় অনুশীলন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়।

তবে দলটির অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন। তার মতে, অনুশীলন বাতিলের কারণ পারিশ্রমিক নয়, বরং ক্রিকেটারদের বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল।

রাজশাহীর দাবি: বিশ্রামের জন্য অনুশীলন বাতিল

গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জায়েদ আহমেদ বলেন, “অনুশীলন বয়কট শব্দটি আমাদের পক্ষ থেকে যায়নি। আমাদের ম্যাচ রয়েছে, আমরা ব্যস্ত সূচির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চেয়েছিল। আমরা সেই অনুযায়ী বিশ্রাম দিয়েছি। পারিশ্রমিকের কোনো বিষয় এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।”

তিনি আরও জানান, পারিশ্রমিক পরিশোধ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) বিকেল বা দুপুরের পরই তারা পরিশোধ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। তিনি বলেন, “আমাদের ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং প্রতিটি ক্রিকেটারই বিষয়টি সম্পর্কে জানে।”

চেক বাউন্সের ঘটনা ও ব্যাখ্যা

দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের কিছু চেক বাউন্স করার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে জায়েদ আহমেদ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “সিলেট পর্বে আমরা কিছু চেক দিয়েছিলাম। তবে ঢাকায় আমাদের শেষ ম্যাচের সময় মালিকের স্ত্রীর গায়ে বল লেগে হাড়ে চিড় ধরেছিল, ফলে তাকে তাৎক্ষণিক ব্যাংকক নেওয়া হয়। এই কারণে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আমরা আগেই ক্রিকেটারদের জানিয়েছিলাম যেন তারা চেক জমা না দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “এর মধ্যেও হয়তো দু-একজন ক্রিকেটার তথ্যটি মিস করে চেক জমা দিয়েছিল। পরে তারা নিজেরাই বলেছেন যে এটি ভুলবশত হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে তারা বিষয়টি ম্যানেজ করে নেবেন।”

জায়েদ জানান, ২৫ শতাংশ পরিশোধের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ক্ষেত্রেও ২৫ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।

বিপিএলে অর্থ সংকট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি বিতর্ক

বিপিএল প্রতিবারই নানা বিতর্কের জন্ম দেয়, বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অর্থ পরিশোধ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রাজশাহীর ক্রিকেটারদের বকেয়া পারিশ্রমিক প্রসঙ্গ সেই বিতর্ককে আবারও সামনে এনেছে। তবে দলটির ম্যানেজমেন্টের বক্তব্য অনুযায়ী, আগামীকাল থেকেই ক্রিকেটাররা তাদের পাওনা অর্থ পেয়ে যাবেন।

দেখার বিষয়, আগামী দিনগুলোতে দুর্বার রাজশাহীর পারফরম্যান্স কেমন হয় এবং পারিশ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যা পুরোপুরি মিটে যায় কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *