বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘স্থায়ী কমিটির’ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,জামায়াত একটা নিষিদ্ধ পার্টি হিসেবে বিবেচিত। জামায়াত ভাবছে তারা ইতিমধ্যে ক্ষমতায় চলে এসেছে।Tourism guides
বিএনপির মনে করে না যে তারা ক্ষমতায় চলে এসেছে তারা বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আনার মালিক জনগণ। বি এন পির একটাই দাবি, অবাধ,সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন।
তিনি বলেন,জামায়াত এবং বিএনপি দুটি দলের রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন। বিএনপি অর্থাৎ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল “জাতীয়তাবাদ” কে মূল মন্ত্র হিসেবে মনে করে। বিএনপি’র মূল মন্ত্র বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ ,স্বাধীনতা,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।জামায়াত ইসলাম জাতীয়তাবাদ বিশ্বাস করে না।
তিনি আরো বলেন,রাজনীতি আন্দোলন সংগ্রামের,কখনো কখনো কৌশলের কৌশলগত কারণে,অর্থাৎ আন্দোলনের জন্য নূন্যতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে একদল একসঙ্গে থাকে।আন্দোলনের জন্য শুধুমাত্র জামায়াতে আমাদের সাথে ছিল না আরও অনেক দল ছিল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুক্ত করেন,বিএনপি ২৭ দফার মাধ্যমে এবং এরপর অন্যান্যদের পরামর্শে ৩১ দফার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে সফল করার জন্য আমাদের সাথে আন্দোলনে ছিল প্রায় ৬২ টি রাজনৈতিক দল ।গত তিন বছর ধরে আমাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন,বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছেন ।জামায়াতের রাজনীতি একটা এবং বিএনপির রাজনীতি আর একটা।
সাম্প্রতিক কালে জামায়াতের কর্মকান্ড থেকে দেখা বোঝা যাচ্ছে তারা একলা চলো নীতিতে এগোচ্ছে ।তারা ভাবছে ইতিমধ্যেই তারা ক্ষমতায় চলে এসেছে।
জামায়াতের রাজনীতি জামায়াত করবে এবং বিএনপির রাজনীতির বিএনপি করবে তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে একটা নিষিদ্ধ পার্টি। আদালতের মাধ্যমে হোক কিংবা সরকারের মাধ্যমে হোক জামায়াত তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা এখন পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হয়নি।
তিনি বিশ্বাস করেন,জাতির ভাবনা জামাত-বিএনপির সম্পর্কের উপর নিবদ্ধ নয়,জাতির দৃষ্টি নিবদ্ধ আছে একটি সুষ্ঠু,অবাধ, নির্বাচনের উপর।
Leave a Reply