বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নাটকীয় ফাইনাল শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করেছে ভারত। বিশ্বকাপ জয়ের ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে ভারতের জার্সিটা যখন কোহলি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত জানালেন তখন অনেকে ধরে নিয়েছিলেন রোহিতও একই পথে হাঁটবেন। হলও তাই।
সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে এক সাংবাদিকের অবসর নেওয়ার প্রশ্ন ছুটে গেল রোহিতের দিকে। প্রশ্ন শোনে, খানিকটা মুচকি হেসে চুপ থাকলেন। ৫-৬ সেকেন্ডের নীরবতার পর বলে দিলেন, হ্যা এটিই আমার শেষ ছিল।
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪,২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
অন্যদিকে ২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪,১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের ক্রিকেটে নিজেকে আর কতদিন দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রোহিত, এটি আমারও শেষ ম্যাচ ছিল। সত্যি বলতে আমি যখন থেকে খেলা শুরু করি অনেক উপভোগ করেছি। এই ফরম্যাটকে বিদায় বলার সুন্দর সময় আর হতে পারে না। আমি বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম এবং বলতে চাই…।
অন্যদিকে, কোহলি বলেন, একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন। এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।
Leave a Reply