free tracking

বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে অস্ট্রেলিয়াঃ ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘জেলিয়া’

অস্ট্রেলিয়ার খনিজ সমৃদ্ধ পশ্চিম উপকূলে একটি তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে, যা দেশটির আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করা হয়েছে।

এলাকার আকাশে এখন প্রবল ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী লৌহ আকরিক পরিবহনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র পোর্ট হেডল্যান্ড বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

সরকারি পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় জেলিয়া শুক্রবার বিকেল নাগাদ স্থলভাগে আঘাত হানার আগে আরও শক্তিশালী হয়ে পাঁচ নম্বর ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে এবং শুক্রবার রাতে পিলবারা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় লৌহ আকরিক রপ্তানি কেন্দ্র, পোর্ট হেডল্যান্ডে আঘাত হানবে। এ কারণে বন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান ড্যারেন ক্লেম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জেলিয়ার প্রভাবে মানবজীবন ও সম্পত্তি বিপদে পড়তে পারে। তিনি পিলবারা অঞ্চলের বাসিন্দাদের জরুরি পরিষেবাগুলোর নির্দেশনা অনুসরণ করতে সতর্ক করেছেন।

এদিকে, এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৮০ থেকে ১০০ মি.মি. বেগে বাতাস এবং ৩.১ থেকে ৩.৯ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং নদী ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। এসব কারণে কর্তৃপক্ষ পিলবারা উপকূলের বাসিন্দাদের নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।

ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি জীবন ও সম্পত্তির জন্য একটি বড় হুমকি হতে পারে। তারা মানুষকে বিশেষ করে যারা অস্থায়ী ও ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িতে বাস করেন, তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া, একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনো ধরনের প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *