free tracking

দেশ বিক্রি কীভাবে হয় দেখালেন জেলেনস্কি!

কথায় কথায় দেশ বিক্রির অভিযোগ নতুন কিছু নয়, তবে বাস্তবে কীভাবে একটি দেশ বিক্রির মুখে পড়তে পারে, তা যেন দেখিয়ে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে পড়ে অবশেষে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর মার্কিন কর্তৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর অধিকার চেয়ে আসছিলেন ট্রাম্প। প্রথমদিকে জেলেনস্কি এই প্রস্তাবে সায় দেননি, বরং বলেছিলেন, “আমি আমার দেশ বিক্রি করতে পারি না।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন তিনি।

ন্যাটোর স্বপ্ন ভুলে যেতে বললেন ট্রাম্প

ক্ষমতায় আসার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, আর ক্ষমতায় বসেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপে ফেলে সেই লক্ষ্য অর্জন করলেন তিনি। মঙ্গলবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এখন আমরা সেই অর্থ ফেরত চাই।”

ট্রাম্প আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি যুক্তরাষ্ট্রকে খনিজ সম্পদের মালিকানা দেয়ও, তবুও তাদের নিরাপত্তার কোনো গ্যারান্টি মার্কিন প্রশাসন দিতে পারবে না। ন্যাটোতে যোগদানের স্বপ্নও ইউক্রেনকে ভুলে যেতে বলেছেন তিনি।

খনিজ চুক্তির পথে দুই দেশ

এদিকে, কিয়েভের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় ধরনের একটি চুক্তির শর্তাবলীতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানা গেছে।

শুধু ইউক্রেনই নয়, রাশিয়ার সঙ্গেও ট্রাম্প খনিজ সংক্রান্ত চুক্তি করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতারা।

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে কিয়েভ। তবে এবার সেই সহায়তার মূল্য চুকাতে হচ্ছে ইউক্রেনকে, আর তারই ফলশ্রুতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে খনিজ সম্পদবিষয়ক চুক্তির পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন জেলেনস্কি।

সূত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=VBjEkUTUOgE

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *