বাড়ির রান্নাঘরকে বলা হয় হৃদয়। এখানেই তৈরি হয় বাড়ির সদস্যদের জন্য সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস আমরা প্রতিদিনই ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা অনেকেই জানি না, রান্নাঘরের কিছু ভয়ংকর উপাদান ও জিনিসই ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
চিকিৎসকদের মতে, রান্নাঘরে কিছু খাবার ও বাসনপত্র আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব বিষয় সম্পর্কে—
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের অতিরিক্ত ব্যবহার
আমরা অনেকেই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করি। এতে খাবার মুড়িয়ে রাখলে তা গরম থাকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার গরম অবস্থায় রাখায় অ্যালুমিনিয়ামের কণা খাবারে মিশে যেতে পারে, যা শরীরে জমা হতে পারে। আর এর থেকেই মস্তিষ্কের রোগ ও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এটি কম ব্যবহার করুন।
প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান
প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখলে, বিশেষ করে রোদে বা গরমে, তাহলে প্লাস্টিকের রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে যেতে পারে।
যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ জন্য স্টিল বা তামার বোতল ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ভাজা বা পোড়া খাবার
খুব বেশি পোড়া বা ভাজা খাবার খেলে এটি অ্যাক্রিলামাইড নামক একটি রাসায়নিক তৈরি করতে পারে। যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পোড়া রুটি, ভাজা আলু- এ ধরনের খাবার।
এ জন্য পোড়া রুটি এড়িয়ে চলুন।
পুরনো বা নষ্ট মসলা
অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মসলা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু পুরনো মসলা ছত্রাক তৈরি করতে পারে, যা লিভার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই মসলা বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করবেন না এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে থাকুন।
প্লাস্টিকের পাত্র
প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখা এবং মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্লাস্টিকে থাকা বিপিএ এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ খাবারে মিশে যেতে পারে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রতিদিন রেড মিট, সসেজ, বেকন বা প্যাকেটজাত খাবার খেলে পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এগুলোতে প্রিজারভেটিভ ও সোডিয়াম নাইট্রেটের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
নন-স্টিক রান্নার পাত্রের ব্যবহার
নন-স্টিক প্যান ও কড়াই ব্যবহার করলে মনে রাখতে হবে ওপরের স্তর যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আঁচড় লাগলে এটি বিষাক্ত উপাদান নির্গত করতে পারে। এগুলোতে পিএফওএ নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
কাচ বা স্টিলের বাসনপত্র ও বোতল ব্যবহার করুন।
টাটকা খাবার খান, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
কম তেল ও কম পোড়া খাবার খান।
নন-স্টিক পাত্রের পরিবর্তে লোহা বা মাটির পাত্র ব্যবহার করুন।
মসলা ও খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
Leave a Reply