অনেকেই আছেন যাদের অল্প বয়সেই ঘাড় ও গলার ত্বক কুঁচকে যাওয়া শুরু করে। কখনো কখনো আবার বয়স ৪০ হলে এমনটা দেখা দেয়া শুরু হয়। অল্প বয়সেই ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে দেখতে বৃদ্ধ দেখায়। যা অনেকের কাছে অস্বাভাবিক এবং বিব্রতকর লাগে।
ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়া, কোলাজেনের উৎপাদন কমা ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব বেশি পড়লে এমনটা হয়। তবে কিছু পদক্ষেপ মেনে চললে ত্বক ও তারণ্য ধরে রাখা কঠিন কিছু নয়। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
করণীয়:
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং করা: গলার ত্বক মুখের তুলনায় অনেকটা পাতলা ও সংবেদনশীল। এ জন্য প্রতিদিন সকালে ও রাতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বককে গভীর থেকে হাইড্রেট করে। এতে ত্বক ভালো থাকে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (ইউভি রে) গলার ত্বকে বলিরেখা ও দাগ সৃষ্টি করে। এ কারণে ত্বক অল্পতেই কুঁচকে যায়। এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে গলার ত্বক রোদে পড়া থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান: শরীর আর্দ্র রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের বিকল্প কিছু নেই। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবে সতেজ থাকবে এবং বলিরেখাও কম দেখা যাবে।
স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা: রেটিনল বা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক আরও প্রাণবন্ত হবে। সপ্তাহে ২-৩ বার স্ক্রাবিং করুন। ফলে মৃত কোষ দূর হবে এবং নতুন কোষের উৎপাদন বাড়বে। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম গলার ত্বক টানটান রাখে। এছাড়া স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম বা ফেসওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার ব্রণ, অ্যাকনের দাগ ছাড়াও ত্বককে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
জীবনযাত্রা ভালো করা: জীবন পরিচালনা সবসময় স্বাস্থ্যকর হতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার পানি, ফলমূল, শাক-সবজি, বাদাম ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। ভালো ঘুম ত্বককে ভালো রাখে। আর ধূমপান ও অ্যালকোহলের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে। এসব ত্বকের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে থাকে।
Leave a Reply