এন্ড্রিকের জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, যিনি “দ্য স্টার” শিরোনাম নিয়ে কোপা আমেরিকা মিশনে এসেছিলেন। সাসপেনশন তাকে প্রারম্ভিক লাইনআপে খেলার সুযোগ দেয়, কিন্তু তরুণ স্ট্রাইকার তা সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। তিনি এতটাই নিস্তেজ এবং বিরক্তিকর ছিলেন যে তিনি অবশ্যই উরুগুয়ের ম্যাচটি ভুলে যেতে চাইবেন!
কোপা আমেরিকার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে উরুগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। লাস ভেগাসের অ্যালেজিয়েন্ট স্টেডিয়ামে মূল ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
টাইব্রেকারে শট নেওয়ার সুযোগ এন্দ্রিককে দেননি ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। কিন্তু প্রথমবারের মতো সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া এবং পুরো ৯০ মিনিট খেলে এই তরুণ করে দেখাতে পারেননি আহামরি কিছুই। বরং ছিলেন ব্যর্থতার খোলসে বন্দি।
পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ রাখলে ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসা এন্দ্রিকের দ্যুতিহীনতাই প্রকাশ পাচ্ছে প্রকটভাবে! উরুগুয়ের বিপক্ষে লক্ষ্যে মাত্র একটি শট রাখতে পারেন এবং সতীর্থদের মাত্র একটি সফল পাস দিতে পেরেছিলেন তিনি!
গত বছর কলম্বিয়ার বিপক্ষে অভিষেকের পর এ বছর তিন ম্যাচে তিনি পেয়েছিলেন জালের দেখা; ইংল্যান্ড, স্পেন ও মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। এই তরুণের মধ্যে কিংবদন্তি পেলের ছায়া দেখতে শুরু করেছিলেন অনেকে, কিন্তু কোপা আমেরিকায় নিজের ছায়া হয়েই থাকলেন তিনি! ভিনিসিউসের নিষেধাজ্ঞায় নিজেকে নতুন উচ্চতায় তোলার সুবর্ণ সুযোগ অন্তত এ যাত্রায় হারালেন তিনি।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জুড়ে এন্দ্রিককে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। মাত্র পাঁচটি পাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সতীর্থদের, তার একটিই কেবল পৌঁছায় সতীর্থের কাছে। সেটাও ম্যাচের শুরুর দিকে।
আক্রমণভাগের মহাভার কাঁধে নিয়ে মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেননি এন্দ্রিক। মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখেন; সেটাও ছিল ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে, ৮৩তম মিনিটে। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া শট উরুগুয়ের গোলরক্ষকের জন্য কোনো দুর্ভাবনার কারণই ছিল না।
ম্যাচে বলে তার স্পর্শ পড়েছে শুরুর একাদশের সবার মধ্যে সবচেয়ে কম; ২৪ বার! এর মধ্যে ১৫ বার তিনি বল হারান। বল নিয়ন্ত্রণে রাখার ১৪টি দ্বৈরথে জিততে পারেন মাত্র চার বার; ফাউল আদায় করে নিতে সক্ষম হন মাত্র দুই বার। এমন পরিসংখ্যান এন্দ্রিক কেনই বা মনে রাখতে চাইবেন?
Leave a Reply