গাইবান্ধায় সুইটি বেগম (৩৪) নামে প্রবাসফেরত এক নারীর স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সুইটি বেগম বিদেশ থেকে ফেরার ১০ দিনের মাথায় রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় স্ত্রী সুইটি বেগমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হ;ত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ছোট ভাই মোকছেদুল মিয়া।
এরআগে, একইদিন সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মেঘডুমুর গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
৩৮ বছর বয়সী নিহত ওই স্বামীর নাম মুকুল মিয়া। রিকশাচালক মুকুল ওই এলাকার গাবুর আলীর ছেলে। এছাড়া অভিযুক্ত স্ত্রী সুইটি বেগম একই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে।
অভিযুক্ত নামীয় অপর তিনজন হলেন, সুইটি বেগমের মা মমেনা বেগম (৫৮) ও তার দুই ভাই মাজেদ মিয়া (৩২) ও মাহাবুব মিয়া (২৫)।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ২০ বছর পূর্বে সুইটি বেগমের সঙ্গে মুকুল মিয়ার প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মুকুল শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। রিকশাচালক মুকুল পরে জমি ক্রয় করে ছেলে-মেয়েসহ বসবাস করতে থাকেন। এরও কিছুদিন পর সুইটি বেগম জোর করেই বিদেশে যান। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে স্বামী মুকুলের সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে সুইটি বেগমের।
একপর্যায়ে ঘটনার ১০ দিন পূর্বে ওমান থেকে দেশে আসেন সুইটি। এসে স্বামী মুকুলের সঙ্গে সংসার করবেন না মর্মে জানিয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন এবং স্বামী মুকুলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বন্ধ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। শনিবার সকাল ৬টার দিকে মুকুল গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে খবর পায় নিহতের পরিবার। কিন্তু ওই বাড়িতে গিয়ে মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। মৃত্যুর কারণ পরিবারের কাছে সন্দেহজনক বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply